এমতাবস্থায় রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলির চরিত্রগত বৈচিত্র ও বিন্যাস মাথায় রেখে অনেক আগেই রাজ্য সরকারের উচিত ছিল ছাত্র - অধ্যাপক - শিক্ষাকর্মী সর্বাংশের সাথে গঠনমূলক আলোচনা করে পরীক্ষা গ্রহণের পদ্ধতি সম্বন্ধে ঐকমত্যে পৌঁছনো । ছাত্রস্বার্থবিরোধী সি.বি.সি.এস , অপ্রতুল শিক্ষা পরিকাঠামো ও শিক্ষাক্ষেত্রের সর্বস্তরে লাগামছাড়া দুর্নীতির কবলে পড়ে ছাত্রসমাজ ইতিমধ্যেই ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠেছে । এস এফ আই মনে করছে পরীক্ষা গ্রহণের পদ্ধতি নিয়ে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তহীনতা ও গণতান্ত্রিক মনোভাবের অভাব আজ ছাত্রদের পরীক্ষার ঠিক প্রাক্কালে এই বিপদের সামনে এনে হাজির করেছে ।
শাসকদলের ছাত্রসংগঠন সস্তা জনপ্রিয়তা লাভের লক্ষ্যে অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণের প্রশ্নে ছাত্রসমাজের একাংশকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল । এখন যখন সাধারণ ছাত্ররা তাদের দাবি দাওয়া জানাতে গিয়ে রাজ্য সরকারের পুলিশের হাতেই আক্রান্ত হচ্ছে , তখন শাসকদলের ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীদের আর দেখা যাচ্ছে না । ছাত্রদের ভুল পথে চালিত করে পরিস্থিতিকে জটিল করে তোলার জন্য এস এফ আই ধিক্কার জানাচ্ছে ।
এছাড়াও এস এফ আই তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে আন্দোলনরত ছাত্রদের উপর পুলিশি আক্রমণের । আমরা যতদ্রুত সম্ভব প্রচলিত পঠনপাঠন পদ্ধতিতে ফেরার পক্ষে ভারতের ছাত্র ফেডারেশন । কোভিড ও লক ডাউনের অজুহাতে রাজ্য সরকার মাসের পর মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে শিক্ষাব্যবস্থা থেকে সমস্ত দায়দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলে কিছু নির্দিষ্ট কোম্পানির লাগামছাড়া মুনাফার সুযোগ করে দিতে চেয়েছে । শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অফলাইনে সিলেবাস সম্পূর্ণ করা যায়নি । বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অফলাইনে পরীক্ষা গ্রহণ করলে যতটুকু সিলেবাস অফলাইনে পড়ানো গিয়েছে , তার ভিত্তিতে পরীক্ষা নেওয়াই শ্রেয় । আমরা এর আগেও সিলেবাস পুনর্বন্টন বা সেমিস্টারের সময়কাল প্রসারিত করার দাবি জানিয়েছে এস এফ আই । মূল্যায়ন পদ্ধতি কি হবে , সেটাও বিবেচনার মধ্যে রেখেই পরীক্ষা গ্রহণের পদ্ধতি স্থির করা উচিত ।
সকল ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যতে লেখাপড়া করার সুনিশ্চিত করে , অবিলম্বে ছাত্রসমাজের অভাব অভিযোগ আশঙ্কাকে গুরুত্ব দিয়ে অনুধাবন করে ছাত্র - অধ্যাপক - শিক্ষাকর্মীদের মতামত নিয়ে এ সমস্যা সমাধান করার প্রশ্নে রাজ্য সরকারের উদ্যোগী হওয়া উচিত এস এফ আই।