কোথায় গেল ডিসেম্বর বিপ্লব রাজের বিরোধী দলনেতার বেধে দেওয়া দুটি তারিখ নিয়ে বেশ কটাক্ষ শুরু হয়েছে , বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারি দাবি করেছিলেন আগামী ১২, ১৪, এবং ২১ তারিখ খুব গুরুত্যপূর্ণ । এর মধ্যেই তৃণমূল সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে যাবে । দুটি তারিখ রাজ্যের শাসক শিবিরে কোনরকম বিপদে ফেলতে ব্যর্থ হল , এরপরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তর্জা । এই আলোচনা বিজেপি এর অন্দরে বিরোধী দলনেতার এই হুমকি কার্যত ফাকা আওয়াজে পরিণত হল ।
ডিসেম্বরের তৃণমূলের জন্য বড় বিপর্যয় অপেক্ষা করছে বলে গত কয়েক মাস ধরে একটা ধারণার জন্ম দিতে চেয়েছিলেন শুভেন্দু। তা নিয়ে হইহই পড়ে গিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। কারণ অনেকে অঙ্ক মেলানোর চেষ্টা করছিলেন— একদিকে ইডি-সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সি বাংলায় অতিসক্রিয়, আবার মিঠুন চক্রবর্তীর মতো নব্য গৈরিক নেতা হুমকি দিচ্ছেন যে তৃণমূলের বহু বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। উপরি বহু সরকারি প্রকল্প খাতে দিল্লি টাকা আটকে রেখেছে। ফলে কৌতূহল তৈরি হয়েছিল, এ ভাবেই কি বাংলায় পালাবদল ঘটিয়ে ফেলবে বিজেপি?
এই ঘটনায় বিজেপির একাংশ শুভেন্দু অধিকারির উপর ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন ওনার বক্তব্যের জন্য দলের বিশ্বাসযজ্ঞতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেলো , এর ফলে বিজেপি এর ভাবমূর্তি রাজ্যে আর ধাক্কা খাবে । অন্য দিকে সিপিএম যেভাবে গ্রাম গুলিতে কর্মসূচী পালন করছে তাতে আসন্ন গ্রাম সভারনির্বাচনে বিজেপি প্রভাব বিস্তর করতে ব্যর্থ হবে । এ যেন কতকটা রাখালের পালে বাঘ পড়ার মতো অবস্থা। এর পর বিজেপির কোনও কথা মানুষ বিশ্বাস করতে চাইবে কেন।