বিমানে প্রস্রাবকাণ্ডে অভিযুক্ত শঙ্কর মিশ্র আগামী ৪ মাস এয়ার ইন্ডিয়ার কোনও বিমানে সফর করকে পারবেন না। তাঁকে এই সফরের ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে এয়ারলাইন্সের তরফে ৩০ দিনের জন্য নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়। এরপর সদ্য সংস্থা পেশ করেছে তাদের অভ্যন্তরীন রিপোর্ট।
এদিকে, ঘটনার পর এই মামলায় নানান রকমের টুইস্ট আসে। তারপর নতুন করে নিজের অবস্থান জানিয়েছে, এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ।
আপাতত বিমানে মহিলার গায়ে মূত্রত্যাগের ঘটনার মামলা কোর্টের অধীনে রয়েছে। এই ঘটনা, গত বছরের নভেম্বর মাসে সম্পন্ন হয়েছে। উল্লেখ্য, প্রায় এক মাসের বেশি হয়ে গিয়েছে সেই ঘটনার। মূল ঘটনার পর দেড় মাস কেটে যাওয়ার পর টাটা সনসের চেয়ারম্যানের তরফে আসে বিবৃতি। এদিকে, ততদিনে ঘটনার শিকার মহিলা এয়ার ইন্ডিয়ার কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। অন্যদিকে, শঙ্কর মিশ্রের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠার পরই দিল্লি পুলিশ তাঁর নামে লুক আউট নোটিস জারি করে। বিমানে মহিলার গায়ে প্রস্রাবকাণ্ডে অভিযুক্ত শঙ্কর মিশ্রের চাকরি চলে যায় এরপর। তিনি গ্রেফতারও হন। আদালতে শুরু হয় মামলা। এদিকে, মামলায় শঙ্কর মিশ্রের বাবা ও তাঁর আইনজীবীরা বহু বক্তব্যে শঙ্করের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে নস্যাত্ করার চেষ্টা করেন। তবে সমস্ত কিছু শুনেও কোর্ট তাঁকে জামিন দেয়নি।
সদ্য কোর্টের সওয়াল জবাব পর্বে শঙ্কর মিশ্রের আইনজীবী দাবি করেন যে, তিনি মহিলার উপর মূত্রত্যাগ করেননি, উল্টো শঙ্কর মিশ্রের আইনজীবীর দাবি ছিল যে, মহিলাই নিজের গায়ে নিজে মূত্রত্যাগ করেন। সেই আইনজীবীর দাবি, প্রস্রাবের এমন ধর কিছু কত্থক শিল্পীর মধ্যে দেখা যায়। এরপর কত্থকশিল্পীদের তরফে আসে জোরালো প্রতিবাদ। এদিকে, এক অসমর্থিত সূত্রের খবরে জানা গিয়েছে, যে নির্যাতনের শিকার মহিলা যখন ক্রিউ সদস্যদের কাছে অভিযোগ করেন যে তাঁর গায়ে শঙ্কর মিশ্র প্রস্রাব করে দিয়েছেন, তখন দেখা যায়, শঙ্কর মিশ্র বিমানে অকাতরে ঘুমোচ্ছেন। ফলে অসমর্থিত সূত্রের দাবি, বিমানে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেন শঙ্কর মিশ্র। শঙ্কর মিশ্র পরে ওই অভিযোগ শুনে চমকে ওঠেন। এদিকে, ততক্ষণে মূত্রের গন্ধে বিমানে বাকি যাত্রীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। সবমলিয়ে বিমানের ভিতর পরিস্থিতি কার্যত হাতের বাইরে চলে যেতে থাকে, বলে জানা যাচ্ছে।