ঝালদা পৌরসভা নিয়ে দিনভর নাটক চলল বলা ভাল ঝালদা পৌরসভা রাজ্যের খবরের শিরোনামে , প্রথমে কংগ্রেস পৌরপিতা খুন হওয়া থেকে তারপর স্ত্রী এই লড়াইয়ের কেন্দ্রে। রীতিমতন ভোটে জিতে অন্যায়ের বিরুদ্ধে এক মুখ হিসেবে শহরের অন্যতম রাজনৈতিক মুখ । একটা পুরসভার চেয়ারম্যান কে হবেন তা নিয়ে যেন নাটকের পর নাটক চলছে হাইকোর্টে। ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচনে কংগ্রেসের জয়, তারপর শীলা চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। গতকাল পুরুলিয়ার মহকুমাশাসক রীতম ঝাঁ নির্দেশিকা জারি করে তৃণমূল কাউন্সিলর সুদীপ কর্মকারকে চেয়ারম্যান নিয়োগ করেছিলেন।
কিন্তু সেই নির্দেশকে যে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যে মামলা হয়েছিল তাতে ফের মুখ পুড়ল রাজ্য সরকারের।শুক্রবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে ওই মামলার শুনানি ছিল। তাতে আদালত তৃণমূলের সুদীপকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছে। সেইসঙ্গে পরবর্তী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কংগ্রেস কাউন্সিলর তথা নিহত কংগ্রেস নেতা তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দুকে।এদিন মামলার শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা তাত্পর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। পর্যবেক্ষণে বিচারপতি সিনহা বলেন, ঝালদায় শুধুমাত্র ক্ষমতা দখলের লড়াই চলছে।
গত ১৬ জানুয়ারি ঝালদায় চেয়ারম্যান নির্বাচন হয়েছিল। সেখানে ১২ আসনের পুরসভায় ৭-০ ব্যবিধানে জেতেন কংগ্রেসের শীলা চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু বৃহস্পতিবার নবনির্বাচিত পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায়ের সদস্যপদ খারিজ করে দেন ঝালদার মহকুমাশাসক। ওয়েস্টবেঙ্গল মিউনিসিপ্যাল অ্যাক্ট (১৯৯৩)-এর ২১-বি ধারা অনুযায়ী ঝালদা পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়ের সদস্যপদ খারিজের জন্য ঝালদা মহকুমা শাসকের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন ঝালদা পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর তথা প্রাক্তন পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়াল। এরপরই ঝালদার মহকুমাশাসক শীলা চট্টোপাধ্যায়কে তাঁর অবস্থান জানানোর জন্য একটি নোটিস পাঠান।
সেই নোটিস নিয়ে শীলা হাইকোর্টে মামলা করেছেন। কিন্তু তারমধ্যেই তাঁর সদস্যপদ খারিজ করে দেন মহকুমা শাসক।হাইকোর্টের এই নির্দেশে বড় জয় পেল কংগ্রেস তা নিসন্দেহে বলা যায় ।