ভিউস নাও ওয়েব ডেস্ক,
নিজস্ব সংবাদদাতা, মুর্শিদাবাদ:
নির্দল প্রার্থী দাঁড় করিয়ে দলকে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াইয়ের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবির। তার সাথে পঞ্চায়েতে টিকিট নিয়ে বিদ্রোহী মুর্শিদাবাদের আরও তৃণমূলের তিন বিধায়ক। পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই বিস্ফোরক ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবির, রেজিনগরের বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরী, নওদার বিধায়ক শাহিনা মমতাজ ও জলঙ্গীর বিধায়ক আব্দুর রাজ্জাক। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে জেলা তৃণমূলের একাংশর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তারা। পঞ্চায়েত ভোটে নির্দল প্রার্থী দাঁড় করানোর হুঁশিয়ারিও দেন চার বিধায়ক।
হুমায়ুন কবির নাম করেই তোপ দেগেছেন কান্দির বিধায়ক তথা দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অপূর্ব সরকার, তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ বহরমপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শাওনি সিংহ রায়ের দিকে। তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুনের দাবি, ভরতপুরে বিধানসভা এলাকায় সব আসনেই নির্দল প্রার্থী দাঁড় করাবেন তিনি।
তিনি বলেন , বৈষম্য হচ্ছে বিধায়কদের সাথে। দল প্রতীক না দিলে বন্ধুত্ব পুর্ণ লড়াই হবে বিধায়কের প্রার্থীদের সাথে ব্লক সভাপতির প্রার্থীদের। দলের প্রতীক না পেলে বিধায়ক অনুগামীরা নির্দল হবেন বলেও জানান তিনি।
তিনি এও অভিযোগ করেন , অভিষেক বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন নির্দলদের নেওয়া হবে না দলে। তার পরেও দলে এসছেন বাইরন। পঞ্চায়েতে প্রার্থী ঠিক করতে বিধায়কের মতকে গুরুত্ব দেন নি জেলার নেতারা বলে তিনি জানান।
রেজিনগরের বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরীও নিশানা করেছেন দলকে। রবিউলের দাবি, বিরোধীরা প্রার্থী দিয়ে দিচ্ছে, তৃণমূল এখনও প্রার্থী ঠিক করতে পারেনি। প্রথম মুখ খুলেছেন চার বিধায়ক। এবার মুখ খুলবেন অন্য বিধায়করা।
তাঁদের সুরে সুর মিলিয়েছেন নওদার বিধায়ক শাহিনা মমতাজ, জলঙ্গীর বিধায়ক আব্দুর রাজ্জাকও। বিধায়কদের দাবি, দল যাদের টিকিট দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আছে কাটমানি , তোলাবাজি, দুর্নীতির অভিযোগ।