আজ দুর্গাপুরের জেমুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সন্ত্রস্ত গ্রাম কালীগঞ্জে আমাদের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী প্রশান্ত রুইদাস এবং তার অন্ত:স্বত্তা স্ত্রীকে পুরুষ দুষ্কৃতকারীরা মারধর করে।প্রশান্তের বোনেরও জামা কাপড় ছিঁড়ে দেয় এরা।ব্যাপক মারধরে করে খবরের প্রয়োজনে আসা RBangla এবং CalcuttaNews এর সাংবাদিক এবং চিত্র সাংবাদিকদের।এর পর রাস্তায় নেমে বামেরা । ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বাম নেতা কর্মীরা প্রতিরোধে এর চাপে ৩ জনকে আটক করে।পার্টির উদ্দ্যোগে এম্বুলেন্স নিয়ে মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় প্রশান্ত এবং তার অন্তস্বত্তা স্ত্রী পূজোকে।
সাথে সাথে ঘেরাও শুরু এন টি পি এস থানা।থানার গেট আটকে ঢুকতে দেওয়া হবে না বললে মূহুর্তে সবাই গেট ঠেলে থানার ভিতরে প্রবেশ করেন। কমিশনারেটের আধিকারিকরা সবাই ছুটে আসেন।অভিযোগ গ্রহন করেছে।ব্যাবস্থা নেওয়ার আশ্বাস বাইরে প্রকাশ্যে এসে জনতাকে বলার পর দীর্ঘক্ষনের ঘেরাও ওঠে।
গ্রেফতার হয়েছে ১ জন বিজেপি নেতা,২ জন তৃনমূল নেতা।বামেদের অভিযোগ চুরি,লুঠ,সন্ত্রাসের ফলে মানুষ এইখানে তৃনমূলের উপর বীতশ্রদ্ধ।তৃনমূলেরই ড্যামি প্রার্থী দাঁড়িয়েছে বিজেপিএর হয়ে।বিজেপি সিম্বলের বি ফর্ম তাদেরই দিয়েছে।বাধ সেধেছে লাল ঝান্ডা।২০১১ এর পরে এই প্রথম সন্ত্রস্থ এতগুলো আসনে বাম প্রার্থী। তাই এই এই দুই দলই বোঝাপড়া আরো স্পষ্ট হলো।তবু প্রতিরোধের বার্তা দিয়ে এদের মোকাবিলা করা হবে জানালো বাম নেতৃত্ব।
জানা যায় ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রশান্ত রুইদাস পঞ্চায়েত সমিতির সিপিআইএমের প্রার্থী হতেই প্রশান্ত রুইদাসের বাড়ি যাওয়ার মূল রাস্তা বাঁশ দিয়ে ঘিরে বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। তারই প্রতিবাদ করায় শনিবার প্রশান্ত রুইদাসকে বেধড়ক মারধর করে এলাকার পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রার্থী আলোচনা রুইদাসের স্বামী মুক্তি রুইদাস ও তার দলবল ও তৃণমূলের বেশ কিছু কর্মীরা বলে অভিযোগ।