অর্থাৎ- যেকোনো স্তরের নির্বাচনই হলো জনগণের উৎসব!! এনিয়ে কোনো প্রশ্নই থাকতে পারে না। কারণ, বিগত দিনের রাজনৈতিক দলের ক্রিয়াকলাপের ওপরে নির্বাচকমণ্ডলী সিদ্ধান্ত জানাবেন কাকে জনগণের মঞ্চ পরিচলনার দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে।
এনিয়ে অবশ্যই বিতর্ক, বিবাদ, বক্তৃতার লড়াই হতে পারে। কিন্তু, আজ ৮ জুলাই, ২০২৩, ইতিহাস সাক্ষী রইলো এই উৎসব নারকীয় তান্ডবে পরিণত হয়ে, ইতিহাস সাক্ষী থাকলো সরকার পরিচালিত তৃণমূল কংগ্রেস রাজনৈতিক দল হিসেবে কতোটা Substandard, কতোটা রাজনীতিহীন পাশবিক। সাথে সাথে রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার কতটা ব্যাক্তিত্বহীন, তৃণমূল কংগ্রেসের হাতের পুতুল, যাকে নির্বাচন ঘোষণা থেকে রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের মনোনয়ন পর্ব সহ নির্বাচনের দিন!! ঐ ব্যাক্তির প্রতিটা পদক্ষেপে তৃণমূল কংগ্রেসের ইচ্ছার ছাপ! রাজ্যের সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (নাম উচ্চারণে মুখে বাধছে)। ভীষণ আতঙ্কে ছিলেন উনি ১৩ ম, ২০১১ সরকারে এসে একের পর এক অনৈতিক বক্তব্য, চুরি, কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত তৃণমূল কংগ্রেস ও রাজ্যের সরকার, যে মানুষের মনে ঘৃণা ঘনীভূত, সেটাই টের পেয়ে ঐ কুৎসিত দলটা বুঝতে পারে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলে জনসাধারণ ভোট দেবেন না। ওনার দলটার মধ্যেও কর্মীদের অনৈতিক লোভ লালসা এতোটাই নিরলজ্জ্বের যে প্রার্থী হওয়ার জন্য মারপিট, খুনোখুনি অতিতে নজির নেই।
মনোনয়ন থেকে আজ পর্যন্ত ৩৩জন খুন!!
জনগণের সবচাইতে পবিত্র উৎসব আজ কলঙ্কিত হলো।
আজ এর প্রতিবাদে বামফ্রন্টগত ভাবে মিছিল সংগঠিত হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন দপ্তরে। সেখানে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক সহ বামফ্রন্ট নেতৃত্ব। এক সংক্ষিপ্ত সভায় বক্তব্য রাখেন সিপিআই (এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তী, জেলা সম্পাদক কল্লোল মজুমদার, বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু সহ অন্যান্য বামদলের নেতৃবৃন্দ।