আবার পূর্ব বর্ধমান জেলায় শহীদের মৃত্যু।বামেদের অভিযোগ ভোটের দিন কেতুগ্রাম থানার কাছেই উত্তরদাস পাড়ায় পার্টির বুথ ক্যাম্পে যখন অন্য কমরেডদের সাথে কমরেড পুলক সরকার কাজ করছিলেন তখন টিএমসি দুষ্কৃতীরা নৃশংসভাবে আক্রমণ করে- পাঁচ জন আহত হন, কমরেড পুলক সরকার মারাত্মক জখম হন। তাঁকে বর্ধমান হাসপাতালে আনা হয়, পরে শারীরিক অবস্থা আরো সংকটজনক হওয়ায় এন আর এস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ বিকেল পাঁচটায় শহীদের মৃত্যুবরণ করেন ।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলী হিংসায় শহিদ হলেন কেতুগ্রাম ২ ব্লকের কেতুগ্রাম উত্তর দাসপাড়ার সি পি আই(এম)-এর ঘনিষ্ঠ দরদী কমরেড পুলক সরকার। কমরেড পুলক সরকার (৫৫) রেলওয়ে কনট্রাকটর-এর অধীনে শিলিগুড়িতে কাজ করতেন। গত ৪ জুলাই তাঁর বাড়ি কেতুগ্রামে আসেন এবং সি পি আই(এম) প্রার্থীদের সমর্থনে সক্রিয়ভাবে প্রচারে অংশ নেন।
৮ জুলাই, নির্বাচনের দিন, কেতুগ্রাম থানার থেকে খুবই কাছে কেতুগ্রাম উত্তরপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথ থেকে ২০০ মিটার দূরে কেতুগ্রাম উত্তর দাসপাড়া এলাকায় পার্টির বুথ ক্যাম্পে কমরেড পুলক সরকার অন্য কমরেডদের সাথে যখন কাজ করছিলেন, সেই সময় তৃণমূল-দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে। কমরেড পুলক সরকার সহ ৫ জন সি পি আই(এম) কর্মী আহত হন। কমরেড পুলক সরকার জখম ছিলো গুরুতর। কেতুগ্রাম হাসপাতালে চিকিৎসার পর ৪জন কমরেডকে বাড়ি পাঠানো হলেও অবস্থার অবনতি হতে থাকায় ৮ জুলাই সন্ধ্যায় কমরেড পুলক সরকারকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসকরা। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কমরেড পুলক সরকারের অবস্থার আরও অবনতি হলে ৯ জুলাই রাতেই কমরেডকে কলকাতা এন আর এস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ বিকেল ৫টা নাগাদ এন আর এস হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তৃণমূল ঘাতক বাহিনীর দ্বারা গুরুতর আহত লড়াকু কমরেড পুলক সরকার। কমরেডের স্ত্রী, ২ কন্যা ও ১ পুত্র বর্তমান।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলী হিংসায় কমরেড পুলক সরকারের জীবনাবসানে গভীর শোকপ্রকাশ ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করার সাথে সাথে ঘাতক তৃণমূলী দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন পার্টির রাজ্য কমিটির সদস্য অচিন্ত্য মল্লিক এবং পার্টির জেলা সম্পাদক সৈয়দ হোসেন।