গণনাকে কেন্দ্রকে রণক্ষেত্র ভাঙড়। পুলিস-আইএস সংঘর্ষে ভয়ংকর পরিস্থিতি। গণনাকেন্দ্রে আটকে পড়লেন আরাবুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে হাকিমুল ইসলাম। একের পর এক বোমা বিস্ফোরণে তুলকালাম কাঁঠালিয়া অঞ্চল। পুলিস রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়েছে বলে অভিযোগ আইএসএফের।অন্যদিকে, তৃণমূলের দাবি আইএসএফ পুলিস ও তৃণমূল নেতাকর্মীদের উপরে হামলা চালিয়েছে। খবর পাওয়া যাচ্ছে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অতিরিক্ত পুলিস সুপার ও তাঁর দেহরক্ষী।
ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের কাঁঠালিয়া স্কুলে গণনা চলছিল। সেখানেই রাতে চলছিল জেলা পরিষদের গণনা। মোট ৩টি আসনের গণনা চলছিল। তার মধ্যে ২ আসনের ফল ঘোষণা হয়ে যায়। একটি আসনে জেতে আইএসএফ প্রার্থী। অন্যটিতে জেতেন তৃণমূল প্রার্থী। তৃতীয় আসনের কাউন্টিংয়ের সময়েই গন্ডগোলের সূত্রপাত। আইএসএফের তরফে দাবি করা হয়েছে ৫ হাজার ভোটে আইএসএফ এগিয়ে গিয়েছে বলার কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনশোরের কিছু বেশি ভোটে তিনি হেরে গিয়েছেন বলে জানানো হয়। এতেই শুরু হয়ে যায় তৃণমূল ও আইএসএফ সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ। কাউন্টিং সেন্টারের মধ্যেই দুপক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়ে যায়।
পুলিস সূত্রে খবর সেইসময় গুলি চালনার ঘটনা ঘটে যায়। তাতেই গুলিবিদ্ধ হন অতিরিক্ত পুলিস সুপার পদমর্যাদার এক অফিসার। গুলি লাগে তাঁর হাতে। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে তাঁর দেহরক্ষীও গুলিবিদ্ধ হন।
আইএসএফ নেত্রী আসমা খাতুন বলেন, আমাদের প্রার্থী ৫ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিল। এখন রাত পৌনে বারোটার সময়ে বিডিও বলছে আইএসএফ প্রার্থী ৩০৭ ভোটে হেরে গিয়েছে। শাসকদলের নেতাদের সঙ্গে সেটিং করে এসব করা হয়েছে। আমরা রিকাউন্টিং চাই। আমাদের কয়কটা বুথে ছাপ্পা মেরেছে। এজেন্টে বসতে দেয়নি। সেইসব জায়গায় রিপোল চাই।