২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, দিল্লি
দেশে পথকুকুর বা পোষ্যের আক্রমণে জখম বা মৃত্যু হওয়ার ঘটনা বাড়ছে। পরিসংখ্যান বলছে, এ বছরে গোটা দেশে জলাতঙ্কের বলি ২১ হাজারের বেশি মানুষ। তথ্যানুসারে, দেশে এই মুহূর্তে তিন থেকে ছয় লক্ষ পথকুকুর আছে। সবচেয়ে বেশি জলাতঙ্কে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে দিল্লি, কর্ণাটক এবং বাংলায়। জলাতঙ্ক-চিকিৎসার পরিকাঠামো নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠছে, তেমনই প্রশ্ন উঠছে প্রতিষেধকের মান নিয়েও। উদ্বিগ্ন খোদ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলাতঙ্ক প্রতিরোধে সবচেয়ে জরুরি কাজ হলো পথকুকুরদের টিকা দেওয়া। কিন্তু দেশে পথকুকুরদের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা যথেষ্ট নয়। এছাড়া, অনেক পোষ্য কুকুরেরও টিকা দেওয়া হয় না। ফলে, জলাতঙ্কের সংক্রমণ বাড়ছে।
সরকার কী করছে?
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জলাতঙ্ক প্রতিরোধে একটি জাতীয় কর্মসূচি চালু করেছে। এই কর্মসূচির আওতায় পথকুকুরদের টিকা দেওয়া এবং জলাতঙ্ক-চিকিৎসার পরিকাঠামো উন্নত করার কাজ করা হচ্ছে। কিন্তু এই কর্মসূচিটি এখনও পুরোপুরি কার্যকর হয়নি।
কী করবেন সাধারণ মানুষ?
সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে। কুকুর, বিড়াল বা অন্য কোনো প্রাণী কামড়ালে বা আঁচড়ালে অবিলম্বে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। এছাড়া, পোষ্য কুকুরকে নিয়মিত টিকা দিতে হবে।
উপসংহার
জলাতঙ্ক একটি ভয়ঙ্কর রোগ। এর প্রতিষেধক নেই। তাই, এই রোগ থেকে বাঁচতে সতর্ক থাকা জরুরি।