সমাজে যখন একটা বয়স ব্রাত্য হয়ে ওঠে , তখন মাথা উঁচু করে বাঁচার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা করে চলেছে দুর্গাপুরের এ এস পি কারখানার অবসর প্রাপ্ত শ্রমিক ও আধিকারিকরা।আর সেখানেই তাদের সংগঠন সহমর্মীর সার্থকতা।
বরিষ্ঠ নাগরিক দিবস পালন করলেন দুর্গাপুরের এ এস পি কারখানার অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের সংগঠন সহমর্মী।২০১৩ সালে এই সংগঠনের যাত্রাপথের সূচনা হয় , ধীরে ধীরে সংগঠন বিস্তৃতি লাভ করে।বর্তমানে সদস্য সংখ্যা ২০০০ ছাড়িয়েছে।মূলত অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরিষেবা মূলক কাজে নিয়োজিত করে এই সংগঠন।সেইলের উদ্যোগে তাদের জন্য মেডিক্লেম ব্যবস্থা করা হয়েছে ,তারা যাতে এই পরিষেবা পেতে কোনো অসুবিধার মধ্যে না পড়েন তা দেখা মূলত এই সংগঠনের কাজ।বক্তব্য রাখেন এস ডাবলু এ আই এর সাধারণ সম্পাদক ললিত মোহন মিশ্র এবং হিন্দুস্তান স্টিল এমপ্লইজ ইউনিয়নের রিটায়ার সংগঠনের পক্ষ থেকে স্বপন মজুমদার।
দুর্গাপুরের ইস্পাত অঞ্চলে বহু অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের সন্তান কাজের সূত্রে রাজ্যের বাইরে সেইসময় যাতে একাকীত্ব গ্রাস না করে তাদের পাশে সহমর্মী পাশে দাঁড়িয়ে তাদের মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করছে।এছাড়াও সারা বছর ধরে স্বাস্থ্য ক্যাম্প সংগঠিত হয় বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের সাথে সহযোগিতা নিয়ে।সেই সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন ছিল জমজমাট।সকাল থেকেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ তা উপেক্ষা করেই দুর্গাপুরের দেশবন্ধু ভবনে ছিল উপচে পড়া ভিড়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে সূচনা হয়।বক্তব্য রাখেন সংগঠনের একাধিক নেতৃত্ব সমাজে ঐকবদ্ধ ভাবে বেঁচে থাকার উপর জোর দেন।অনুষ্ঠানে হেলথ ওয়ার্ল্ড হাসপাতালের এক আধিকারিক কে সংবর্ধিত করা হয়।এরপরে এক অনন্য সম্মান প্রদর্শন করা হয়।সংগঠনের যারা আশি বছর অতিক্রম করেছে তাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।এর পরে এক সুমধুর সংগীত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।অনুষ্ঠান স্থল সংগীত শিল্পী শ্রীমতি সোমা ঘোষালের কণ্ঠে মোহিত হয়ে ওঠে।অনুষ্ঠান শেষে একটাই বার্তা সংকটে যখন সমাজ এক অবক্ষয়ের মধ্য দিয়ে চলছে, এই সংগঠন যেন বেঁচে থাকার এক লাইট হাউস।