বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ ক্যাম্পাসের লহর থেকে গতকাল এক অজ্ঞাত পরিচয় মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃতদেহ উদ্ধারের পর বর্ধমান থানার পুলিশ মৃতদেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে পুলিশ মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করবে বলে জানা গেছে।
এই ঘটনায় বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্রছাত্রী, অভিভাবকদের মধ্যে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ছাত্র ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের ছাত্র ফেডারেশন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
এসএফআই এর বক্তব্য এই ঘটনা ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে পাঠরত ও আবাসিক ছাত্র-ছাত্রীরা যাদের প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত লাইব্রেরীতে পড়াশোনা বা ক্যাম্পাসের ভেতরে পড়াশোনার জন্যে থাকতে হয় তাদের নিরাপত্তা অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে। এর আগেও এধরনের ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ঘটেছে।
এসএফআই এর তরফ থেকে বলা হয়েছে, বারেবারে এই ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ঘটতে থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্রছাত্রী, অধ্যাপক, শিক্ষাকর্মী সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিকদের নিরাপত্তাকে যেভাবে প্রশ্ন চিহ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে, তা বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ঐতিহ্যে আঘাত করেছে।
এসএফআই বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের পক্ষ থেকে স্মারকলিপির মাধ্যমে অতিদ্রুত বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের সাধারণ ছাত্রছাত্রী, অধ্যাপক, শিক্ষাকর্মী সহ আবাসিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি করা হয়েছে।
উপসংহার:
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ ক্যাম্পাসে অজ্ঞাত পরিচয় মহিলার মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্রছাত্রী, অভিভাবকদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। বারবার এই ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত এই ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা।