১৯৯২ সালের ৬ ই ডিসেম্বর দেশের ধর্মনিপেক্ষ চরিত্রের উপর বড় প্রশ্নের মুখে পড়ে, ধর্মীয় উন্মাদনা দেশে তৈরি হয় বিভাজনের আরেক অন্ধকার অধ্যায়।বাবরি মসজিদ ধ্বংসের মধ্যে দিয়ে তৈরি হয় রাম মন্দিরের ভিত।এই ঘটনার পর শুরু হয় দেশের বর্তমান ক্ষমতাসীন দল বিজেপি এর অগ্রগতির ইতিহাস।বর্তমানে এই বিরোধের অবসান হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে রাম মন্দিরের ভিত তৈরি হয়েছে, আগামী জানুয়ারি মাসে উদ্বোধন হতে চলেছে।
যদিও একাধিক রাজনৈতিক দল এই ঘটনার দিনকে কালা দিবস হিসেবে পালন করে চলেছে।বিশেষ করে বাম দলগুলি ধারাবাহিক ভাবে কর্মসূচি পালন করে চলেছে।দুর্গাপুরের বুকে আজ এমনি এক কর্মসূচির সাক্ষী থাকলো শহরবাসী।
সকাল থেকেই বৃষ্টির ঘনঘটা তা উপেক্ষা করেই হিন্দুস্তান স্টিল এমপ্লিইজ ইউনিয়নের উদ্যোগে পালিত হয় সম্প্রীতির দৌড়।যার মূল বার্তা বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য এবং বিবিধের মাঝে মিলন মহান।দুর্গাপুরের ইস্পাত অঞ্চলের অশোক এভিনিউ থেকে শুরু হয় এই দৌড় , দৌড়ে অংশ নেন একাধিক পড়ুয়া তাদের সাথে ইস্পাত এর শ্রমিকরা।দৌড়ের শুরুতে ইউনিয়নের সভাপতি বিশ্বরূপ বন্দোপাদ্যায়ের পক্ষ থেকে শপথ বাক্য পাঠ করা হয় ।যেখানে বলা হয় দেশের সংবিধান রক্ষা করার শপথ সেই সঙ্গে দেশের অখণ্ডতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার শপথ।লাল পতাকা নেড়ে দৌড়ের সূচনা করেন ইউনিয়নের কনভেনর সীমান্ত চ্যাটার্জী এবং সিআইটিইউ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং এস ডাবলু এফ আই এর সম্পাদক ললিত মোহন মিশ্র। দৌড় শেষ হয় এ এস পি এর সিআইটিইউ ইউনিয়ন অফিসে।
সেখানে অংশগ্রহণকারীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয় এ এস পি শাখার আহবায়ক নবেন্দু সরকারের পক্ষ থেকে।এই দৌড়ে অংশ নেয় শহরের একাধিক প্রাক্তন ক্রীড়াবিদ। দুর্গাপুরের বুকে এই সম্প্রীতির দৌড় ঘিরে ছিল ব্যাপক উৎসাহ রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে অনেক মানুষকে এই দৌড়ী7 সমর্থন জানাতে দেখা যায়।