ভিউজ নাও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা থেকে সংবাদদাতা সুশান্ত কুন্ডু
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। গত ৫ ডিসেম্বর ২০২৩ সকাল ৬:৩০ মিনিটে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার প্রাক্তন মন্ত্রী ও সিপিএমের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সম্পাদক নারায়ণ বিশ্বাস। তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।
গত শতাব্দীর সত্তর দশকে ছাত্র অবস্থায় ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) (সিপিএম)-এর সংস্পর্শে আসেন নারায়ণ বিশ্বাস। পরবর্তীকালে তিনি সিপিএম-এর সদস্য হন। ১৯৮১ সালে অবিভক্ত পশ্চিম দিনাজপুর জেলা কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৪ সালে জেলা সম্পাদক মন্ডলীতে অন্তর্ভুক্ত হন এবং ২০১৫ সালে জেলা কমিটির সম্পাদক ও রাজ্য কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন।
নারায়ণ বিশ্বাস দক্ষতার সঙ্গে সাংগঠনিক, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব সামলেছিলেন। ১৯৯৩ সালে তিনি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি এবং ১৯৯৯ সালে ডিপিএসসির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে গঙ্গারামপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য মন্ত্রিসভার প্রথম ক্ষুদ্র কুটির শিল্প দপ্তর, পরে পরিবহন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তারপরে জল সম্পদ দপ্তরের মন্ত্রী হিসেবে যোগ্যতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।
নারায়ণ বিশ্বাসের মৃত্যুতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আজ ৬ ডিসেম্বর ২০২৩ সকাল সাতটা থেকে আটটা পর্যন্ত তার মরদেহ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পার্টির কার্যালয়ে পুষ্পস্তবক দিয়ে সম্মান জানানো হয়। পার্টির পক্ষ থেকে রক্তপাতাকা তুলে দেন ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির মার্কসবাদীর রাজ্য কমিটির সদস্য ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কল্লোল মজুমদার এবং দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পার্টির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্যরা।
অসংখ্য মানুষ তাকে স্মরণ করতে উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন আরএসপি পার্টির রাজ্য নেতৃত্ব ও জেলা সম্পাদক সম্মানীয় বিশ্বনাথ চৌধুরী।
নারায়ণ বিশ্বাসের মৃত্যুতে সিপিএম-এর দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কমিটি গভীর শোক প্রকাশ করেছে। এক শোক বার্তায় বলা হয়েছে, “নারায়ণ বিশ্বাস ছিলেন একজন নিবেদিতপ্রাণ কমিউনিস্ট নেতা। তিনি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তার মৃত্যুতে আমরা একজন সম্পদকে হারালাম।”