ফুটবল ইতিহাসে মাত্র তিনজন ব্যক্তির কীর্তি আছে খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জেতার, ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার তাদের একজন; দুই ব্যালন ডি অর জেতা একমাত্র ডিফেন্ডার বেকেনবাওয়ার; আছে ১১ টা ব্যালন ডি অর নমিনেশন - যা মেসি, রোনালদোর পরে সর্বোচ্চ।
ফুটবল ইতিহাসের সেরা ডিফেন্ডার তো বটেই, তর্কসাপেক্ষে সবচেয়ে কমপ্লিট ফুটবলারও ফ্র্যঞ্জ বেকেনবাওয়ার।
অন পিচ ডমিনেন্স, লিডারশিপের জন্য পেয়েছিলেন " ডার কায়জার" নিকনেম। মডার্ন ডিফেন্ডারদের যে সুইপার/লিবেরো রোল আছে, সেটাকে রেভলিউশনাইজ করার কারিগরও এই ব্যক্তি।
তৎকালীন পশ্চিম জার্মানির গেসলিংয়ে জন্ম নেওয়া বেকেনবাওয়ার "১৮৬০ মিউনিখ" এর সমর্থক হয়ে বড়ো হলেও শেষ পর্যন্ত যোগ দিয়েছিল সেসময় অখ্যাত বায়ার্ন মিউনিখের ইয়ুথ সেটাপে। বায়ার্ন মিউনিখ তখন জার্মান ফুটবলের সেকেন্ড টায়ারে খেলা দল, ঐ বায়ার্নের আজকের বায়ার্ন হওয়ার পেছনে মিড সিক্সটিজ , সেভেন্টিজে ক্রুশাল পার্ট ছিলেন তিনি।
বেকেনবাওয়ারকে মোস্ট কমপ্লিট ফুটবলার হিসেবেও কাউন্ট করা হয়। বায়ার্নে স্ট্রাইকার হিসেবে শুরু করলেও লেফট উইং, সেন্ট্রাল মিডফিল্ড থেকে আলটিমেটলি ডিফেন্সে শিফট হয় ফ্র্যাঞ্জ।
ফ্র্যঞ্জ বেকেনবাওয়ার ছিলো ন্যাচারাল লিডার। তার ক্যাপ্টেন্সিতেই ১৯৬৮/৬৯ সিজনে বুন্দেসলিগায় প্রমোশন হয় বায়ার্ন মিউনিখের এবং প্রথম সিজনেই জার্ড মুলার , সেপ মায়ার , বেকেনবাওয়ারদের বায়ার্ন মিউনিখ হয়ে যায় বুন্দেসলিগা বিজয়ী।
সেখানেই শুরু। এরপর ১৯৭২-১৯৭৪ এ বায়ার্ন হ্যাটট্রিক বুন্দেসলিগা, ১৯৭৪-১৯৭৬ এ হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে বেকেনবাওয়ার এর হাত ধরে। ১৯৭২ ইউরো, ১৯৭৪ এর বিশ্বকাপজয়ী পশ্চিম জার্মানির অধিনায়কও ছিলেন এই মহারথী।
ফুটবল আজকে আরেকজন অভিভাবককে হারালো। ম্যারাডোনা, পেলের পর বিংশ শতাব্দির তৃতীয় সেরা ফুটবল ফিগারেরও মৃত্যু হয়ে গেলো।