নয়াদিল্লি, ৮ জানুয়ারি, ২০২৪: এক চাঞ্চল্যকর রায়ে, সুপ্রিম কোর্ট আজ ২০০২ সালের বিলকিস বানো গণধর্ষণ ও তাঁর পরিবারের সাত সদস্যের নির্মম হত্যার ১১ দণ্ডিতের মুক্তির আদেশ বাতিল করেছে।
জাস্টিস বি ভি নাগরথনা ও জাস্টিস উজ্জ্বল ভূয়ন ক্রমে দুই বিচারপতির বেঞ্চ দণ্ডিতদের মুক্তির আবেদন খারিজ করে দেন এবং তাদের আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে জেল কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট করার নির্দেশ দেন।
রাবে, আদালত দৃঢ়তার সাথে জানিয়েছে যে গুজরাট সরকার এই মামলায় মুক্তির আদেশ দিয়ে তার ক্ষমতা অতিক্রম করেছে। বোম্বে হাই কোর্ট মূলতঃ পুরুষদের কারাগারে পাঠিয়েছিল এবং মহারাষ্ট্রই কোনো মুক্তির আবেদন বিবেচনা করার উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ছিল, গুজরাট নয়।
আদালত ঘোষণা করে, “গুজরাট মুক্তির আদেশ দেওয়ার ক্ষমতা মহারাষ্ট্রের কাছ থেকে অবৈধভাবে দখল করেছে,” রায়ে ঠিক ক্রমপদ্ধতি না মানার বিষয়টি তুলে ধরে, যা শেষ পর্যন্ত দণ্ডিতদের তাড়াতাড়ি মুক্তির আদেশ অবৈধ ঘোষণা করে।
এই রায় বিলকিস বানো এবং তাঁর সমর্থকদের জন্য একটি বড় বিজয়, যারা গত দুই দশকে অক্লান্ত পরিশ্রমে ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই করেছেন। সুভাষিনী আলি, রেবতী লাল এবং রুপ রেখ বর্মা সহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট কর্মী ও সমাজকর্মীও মুক্তির আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন দায়ের করেছিলেন, এর আইনগত দুর্বলতা উল্লেখ করে।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে শুধুমাত্র বিলকিস বানো মামলা নয়, মুক্তি ও ঠিক ক্রমপদ্ধতি সংক্রান্ত বৃহত্তর আইনি বক্তব্যের জন্যও গুরুত্ব বহন করে। এটি এই মতবাদ পুনরায় জোরদার করে যে দীর্ঘদিনের দণ্ডাজ্ঞার ক্ষেত্রেও, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ এবং প্রতিষ্ঠিত আইনি নিয়ম মেনে মুক্তি দেওয়া উচিত।
এছাড়াও, দণ্ডিতদের আবেদন খারিজ করে আদালত অপরাধের গুরুত্ব এবং ভুক্তভোগী পরিবারের জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে। দণ্ডিতদের আরও আইনি চ্যালেঞ্জ করার অধিকার থাকলেও, আজকের রায় এই দীর্ঘদিনের ঘটনায় জবাবদিহিতা এবং সমাপ্তির দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।