কলকাতার নেতাজী নগর বাস্তুহারা সমিতির ৭৫তম বর্ষপূর্তি গতকাল ২৬ জানুয়ারি উদযাপিত হয়েছে। সকালের প্রথম পর্যায়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সমিতির সদস্যরা এবং স্থানীয় বাসিন্দারা।
বিকেলে দ্বিতীয় ও শেষ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সমিতির সম্পাদক শ্রদ্ধেয় শ্রী নানু শুর। তিনি বলেন, “নেতাজী নগর বাস্তুহারা সমিতি ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই সময় এই এলাকায় উদ্বাস্তুদের বসবাস ছিল। সমিতি তাদের জন্য বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে।”
তখনকার কলোনির অবস্থা সম্বন্ধে ব্যাখ্যা করেন শ্রী জয় বোস। তিনি বলেন, “সেই সময় এই এলাকা ছিল খুবই নোংরা ও জলাবদ্ধ। সমিতি এই এলাকার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।”
শ্রদ্ধেয় রাজ্য সভার সদস্য, বিশিষ্ঠ আইনজীবী শ্রী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আমাদের শ্রদ্ধেয় প্রশান্ত শুর সম্বন্ধে ব্যাখ্যা করেন ও ওনার মূর্তি উন্মোচন করেন। তিনি বলেন, “প্রশান্ত শুর ছিলেন এই সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। তিনি এই সমিতির উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন।”
অনুষ্ঠানের শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।
সমিতির সম্পাদক শ্রী নানু শুর বলেন, “আমাদের শ্রদ্ধেয় প্রশান্ত শুর ছিলেন অবশ্যই নেতাজী নগরের ১১ টা ওয়ার্ডের নিজস্ব লোক। তাই তারা যেমন প্রতিবছর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছে, এই অনুষ্ঠানে আসে পাশের কলোনির কিছু কিছু বাসিন্দা উপস্থিত থাকতে ইচ্ছুক। বিগত দিনে যেমন ভালো মন্দ তে পাশে ছিলো, আগামী দিনেও কলোনির যৌথ দুর্গ পুজো থেকে আরম্ভ করে কলোনী র প্রতিষ্ঠা দিবসে আসে পাশের ইচ্ছুক কলোনির বাসিন্দা দের যুক্ত করবার অনুরোধ রইলো।”
তিনি বলেন, “একই সময় সুভাষ পল্লী (নিঃস্ব কলোনী), আদর্শ পল্লী, সংহতি কলোনি, একই সময় থেকে আমাদের মা, দিদিরা শ্রদ্ধেয় প্রশান্ত সুরের সঙ্গে, শ্রদ্ধেয় অর্চনা দির সঙ্গে, শ্রদ্ধেয় দুলাল ব্যানার্জী র সঙ্গে, শ্রদ্ধেয় কণিকা দির সঙ্গে, শ্রদ্ধেয় মনোজ গাঙ্গুলির সঙ্গে, শ্রদ্ধেয় তারক রায় দের সঙ্গে উদ্বাস্তু আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।”