মাফিয়ার দৌড়ত্বে কাঁপছে গোটা দেশ ,মাফিয়াদের এমন দাপট টিভি স্টেশনের দখল নেয় তারা।স্থানীয় এক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর হামলা চালায় তারা।দেখে উপায় ছিল না দেশে কোনো আইনের শাসন আছে বলে।গত বুধবার আচমকা দেশের জাতীয় টিভি স্টেশনে হামলা করে বন্দুকধারী জনা কুড়ি দুষ্কৃতী।এই ঘটনার জেরে দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে রাষ্ট্রপতি । ইকুইডোরে মাফিয়া রাজ নতুন নয় এমনকি এখানকার রাজনৈতিক দলের মদতে ড্রাগ ব্যবসা ফুলে ফেঁপে উঠেছে।দেশের চরম দরিদ্রের সুযোগ নিয়েছে একাধিক মাফিয়া।বিভিন্ন দলে বিভক্ত তারা এমনকি বাহিনী তৈরি করে ফেলেছে তারা।তাদের নিয়েই ভোট যুদ্ধে নামে নানান রাজনৈতিক দল।এবার তাদের দৌড়ত্বে দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো বিপদে পড়েছে ।
এক সপ্তাহ আগে কুখ্যাত ড্রাগ মাফিয়া দেশের জেল থেকে পলাতক হয় , সঙ্গে আরও সাগরেদ নিয়ে।তার পর থেকেই বন্দুকধারীদের সন্ত্রাস ছড়িয়ে পড়ে দেশ জুড়ে।
মিঃ ম্যাকিয়াস, যিনি "ফিটো" নামে বেশি পরিচিত, তিনি দেশের সবচেয়ে কুখ্যাত মাফিয়াদের একজন। তিনি লস চোনেরোসের প্রধান, যিনি মেক্সিকান ড্রাগ কার্টেলের সাথে সম্পর্ক স্থাপনকারী প্রথম ইকুয়েডর গ্যাংগুলির মধ্যে একটি বলে মনে করা হয়।
রবিবার, মাদকদ্রব্যের জন্য একটি ঝাড়ু দেওয়ার সময়, তাকে গুয়াকিলের একটি কারাগারের তার সেল থেকে নিখোঁজ পাওয়া গেছে, যেখানে তিনি মাদক পাচার এবং অন্যান্য অপরাধের জন্য ৩৪ বছরের সাজা ভোগ করছেন। এর আগেও ২০১৩ সালে তিনি একবার জেল থেকে পালিয়েছিলেন।
মাফিয়াদের এমন দাপট ১৮ মিলিয়ন মানুষের দেশে শুধুই এখন অপহরণ ,মুক্তিপণ একটি শিল্পে পরিণত।যা দেশের রাজনীতিকে কলুষিত করেছে।
ফার্নান্দো ভিলাভিসেনসিও, একজন রাষ্ট্রপতি প্রার্থী যাকে আগস্টে হত্যা করা হয়েছিল, তার মৃত্যুর কয়েকদিন আগে বলেছিলেন যে তিনি লস চোনেরোসের সদস্যদের কাছ থেকে একাধিক হুমকি পেয়েছিলেন। তিনি সংগঠিত অপরাধ এবং সরকারী কর্মকর্তাদের মধ্যে যোগসূত্র সম্পর্কে স্পষ্টভাষী ছিলেন।
রাজনৈতিক মহলের মতে দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন ড্যানিয়েল নোয়াবা ,নভেম্বরে শপথ গ্রহণের পর তিনি কড়া মনোভাব দেখিয়েছেন ড্রাগ মাফিয়াদের বিরুদ্ধে।একাধিক জায়গায় পুলিশের ধরপাকড় সেটাই প্রমান করছে তিনি কতটা ড্রাগ বিরোধী অবস্থান নিয়েছেন।রাজনৈতিক মদতে বেড়ে ওঠা এই মাফিয়াগুলি ও অস্ত্র তুলে নিয়ে সরকারকে উৎখাতের প্রচেষ্টা করছে।যার জেরেই এই ঘটনা যদিও দেশের সেনা অভিযান আপাতত পিছু হটেছে তারা।দেশ জুড়ে ১১ জনের মৃত্যুর পর নতুন করে আর সংঘর্ষের খবর নেই।দেশে আপাতত ৬০ দিনের জরুরি অবস্থা চলবে।