দেশ জুড়ে সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে এই দৌড়ের সূচনা হয়। প্রথমে মহিলাদের ৩ কিমি দৌড়ের সূচনা হয় হিন্দুস্তান স্টিল এমপ্লিইজ ইউনিয়ন এ এস পি শাখার অফিস থেকে। ৭০ জনের মতো মহিলা এথলিটরা এই দৌড়ে অংশ নেয়। দৌড়ের শুরুতে ফ্ল্যাগ উড়িয়ে সূচনা করেন ক্রীড়াবিদ সমাপ্তি ঘোষ এবং শিল্পা বর্ধন। ইস্পাত অঞ্চলের প্রায় তিন কিমি পথ অতিক্রম করে এই দৌড়।
এরপর পুরুষদের ১০ কিমি দৌড়ের সূচনা করেন সিপিআইএম পশ্চিম বর্ধমান জেলা কমিটির সম্পাদক গৌরাঙ্গ চ্যাটার্জি। এই দৌড়টি অনুষ্ঠিত হয় হিন্দুস্তান স্টিল এমপ্লিইজ ইউনিয়নের ডি এস পি শাখার অফিস থেকে প্রায় ১০ কিমি পথ অতিক্রম করে এই ম্যারাথন। দৌড়ের শুরুতে একাধিক ক্রীড়াবিদদের সম্বর্ধনা দেওয়া হয় ইউনিয়নের নেতৃত্ব দের পক্ষ থেকে। এই দৌড় ঘিরে বেশ আবেগ তৈরি হয় দুর্গাপুরের ইস্পাত অঞ্চলে।
একদিকে যখন সাম্প্রদায়িকতার বিষ বাষ্প দেশে ছড়িয়ে পড়ছে সেখানে দাঁড়িয়ে সিআইটিইউ এর উদ্যোগ এক টুকরো অক্সিজেনের খোঁজ দিলো বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। মোট ৩০০ জন প্রতিযোগী এই ম্যারাথনে অংশ নেয়।
সমাপ্তি সভার পরিচালনা করেন বাম শ্রমিক নেতা স্বপন মজুমদার , সেই সভা থেকেই সফল ক্রীড়াবিদদের পুরস্কার দেওয়া হয়।কিক বক্সিং চ্যাম্পিয়ন শিল্প বর্ধনকে সম্মানিত করেন ইউনিয়নের কনভেনর সীমান্ত চ্যাটার্জি।ক্রীড়াবিদ সমাপ্তি ঘোষকে ও সম্বর্ধিত করা হয় ইউনিয়নের তরফ থেকে।
দৌড়ের শেষে সফল প্রতিযোগীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় পুরস্কার। পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রথম স্থান অধিকারী অজয় প্যাটেলের হাতে তুলে দেওয়া হয় নগদ ৫০০০ টাকা , দ্বিতীয় হয় শুভদীপ গরাই তার হাতে তুযে দেওয়া হয় ৩০০০ টাকা। তৃতীয় সাথে অধিকার করে মলয় মন্ডল তার হাতে তুলে দেওয়া হয় ২০০০ টাকা। এছাড়া ও চতুর্থ হয় সাহেব অধিকারী ,পঞ্চম স্থান অধিকার করে বরুন ঝা। মহিলাদের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকারী হয় মানালি সিং তিনি পুরস্কার বাবদ পান ৩০০০ টাকা , দ্বিতীয় হয় একতা গুপ্ত তিনি পরুস্কার বাবদ পান ২০০০ টাকা , তৃতীয় স্থান অধিকার করেন মৌসুমী মান্ডি তিনি পান ১০০০ টাকা। এছাড়াও প্রীতি মৃধা চতুর্থ স্থান এবং কোয়েল চক্রবর্তী পঞ্চম স্থান অধিকার করে।
অনুষ্ঠানের শেষে সীমান্ত চ্যাটার্জি বলেন ইস্পাত ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের মাধ্যমে শহর জুড়ে সুস্থ পরিবেশ গড়ে তুলতে প্রচেষ্টায় তারা।একদিকে স্বাস্থ্য পরিষেবা,আরেকদিকে ক্রীড়ার পরিবেশ গড়ে তোলা আরেকদিকে বিভাজনের নীতি পরাস্ত করে দেশ জুড়ে সম্পৃতির পরিবেশ গড়ে তোলা।
এই অনুষ্ঠানটিকে সফল করতে এগিয়ে আসে একাধিক কর্পোরেট সংস্থা ,এইচ ডি এফ সি ব্যাংক,আই ডি এফ সি ব্যাংক,এছাড়াও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে আই কিউ হাসপাতাল।