৩১ জানুয়ারি ২০২৪
ইরানের ইস্পাত গ্রুপের শ্রমিকরা গত এক মাস ধরে ধর্মঘট ও বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন, মৌলিক অধিকার ও নিরাপত্তা দাবি করে।
তাদের দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে:
- স্বাধীন শ্রমিক ইউনিয়ন গঠন, যা মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্রে স্বীকৃত একটি মৌলিক মানবাধিকার।
- সরকার সমর্থিত তাদের নিয়োগকর্তার কাছ থেকে বকেয়া বেতন প্রদান।
- জীবন পরিকল্পনা এবং ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার জন্য ন্যায্য বেতন ও সুবিধা সহকারে স্থায়ী চুক্তি স্বাক্ষর করা।
- ছোট মেয়াদী চুক্তি বাতিল করা, যা ঠিকাদারদের আধুনিক দাসত্ব চালানোর অনুমতি দেয়।
- কাজের স্থানে উন্নত নিরাপত্তার ব্যবস্থা।
- বেকার ভাতা।
- স্বাস্থ্যসেবা।
- নির্বিচারে এবং অতিরিক্ত ছাঁটাইয়ের অবসান।
- শ্রমিক আইন ও বিধিমালা কঠোরভাবে প্রতিপালন, যার মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ ইরানের কিছু অংশে গ্রীষ্মকালে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি উচ্চ তাপমাত্রার কারণে কাজের ঘন্টা কমানো।
এই দাবিগুলি যৌক্তিক এবং মানবিক, এবং যেকোনো বিবেকবান ব্যক্তিকে উচিতই এগুলো সমর্থন করা, শুধুমাত্র নিজেদের দ্বারাই নয়, বরং এই দাবিগুলি পূরণের জন্য যেসব প্রচারণা চলছে সেগুলোকেও বিশেষ করে আর্থিকভাবে ও প্রচারের মাধ্যমে সমর্থন করা।
ইরানি ধর্মঘটী শ্রমিকরা বারবার বলেছেন যে কাজের অধিকার এবং শ্রমিকের অধিকার রক্ষা করা মানবাধিকার রক্ষা করা, এবং শ্রমিকদের দমন করা এই অধিকারগুলির স্পষ্ট লঙ্ঘন।
ধর্মঘট ও বিক্ষোভের মুখে ইরানি সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। কয়েক ডজন শ্রমিককে গ্রেফতার করা হয়েছে, এবং কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
ধর্মঘট ও বিক্ষোভ ইরানের শ্রমিকদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অসন্তোষের লক্ষণ। তারা তাদের মৌলিক অধিকার ও নিরাপত্তা দাবি করছে, এবং তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত তারা পিছুহঠবেন না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধর্মঘট ইরানের শ্রমিক আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এটি ইরানের শ্রমিকদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অসন্তোষ এবং তাদের মৌলিক অধিকার ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াইয়ের প্রতিফলন।
তারা আশা করছেন, এই ধর্মঘট ইরানি সরকারকে শ্রমিকদের দাবি মেনে নিতে বাধ্য করবে।