রাজ্য জুড়ে দুষ্কৃতীদের দাপট চোখে পড়ছে , এমনি এক ঘটনার সাক্ষী থাকলো নদীয়া জেলার রানাঘাটের স্থানীয় এক বাসিন্দা যিনি পেশায় ড্রাইভার তাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠলো। দিলীপ ঘোষ পেশায় ড্রাইভার স্থানীয় এক পেট্রোল পাম্পে তেল ভরতে গিয়ে বচসায় জড়িয়ে পড়েন পরে সেখানেই তিনি আক্রান্ত হন। প্রয়াত দিলীপ বাবুর পুত্র দিব্যেন্দু ঘোষ অভিযোগ করেন সেই পেট্রোল পাম্পের কর্মীরা তার উপর চড়াও হন।ঘটনাটি ২৫ শে জানুয়ারি ঘটে ,তাকে আহত অবস্থায় ঘরে পৌঁছে দেন অজ্ঞাত পরিচয় কিছু ব্যক্তি।
ঘরে অসুস্থতা বাড়লে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় , অবস্থার অবনতি হলে কলকাতার এন আর এস এ স্থানান্তরিত করা হয়।যদিও শত চেষ্টার পরেও তাকে বাঁচানো যায়নি।যদিও পরিবারের উপর এখনো দুর্যোগের ছায়া যায় নি।ঘটনার তথ্য অনুসন্ধান করতে গিয়ে সেই পেট্রোল পাম্পে পৌঁছালে তাদের প্রতি দুর্ব্যবহার করা হয়।ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে চাইলে পরিবারের উপর আক্রমণ নামিয়ে এনে পাম্পের মালিক সৌভিক ঘোষ ।পরিবার পুলিশের দারোস্ত হলে পুলিশ প্রথমে এফ আই এর নিতে গড়িমসি করলেও পরে রিপোর্ট হয়
।
পুলিশের পক্ষ থেকে তথ্য অনুসন্ধান করা শুরু হলেও ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ পেতে ব্যর্থ হয়।মালিকদের পক্ষ থেকে বলা হয় ক্যামেরা খারাপ।পরিবারের অভিযোগ পাম্পের মালিক রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে।বারবার পোস্ট মর্টেমের রিপোর্ট চালিয়েও তার পেতে ব্যর্থ হয়।এমন অবস্থায় পরিবার স্থানীয় এক উকিলের সাথে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনে।যদিও তারপর পুলিশ কিছুটা সক্রিয় হয় ।
ঘটনায় পাম্পের এক কর্মীকে গ্রেফতার করলেও পাম্পের মালিক সৌভিক ঘোষের কোনো জেরা হয়নি।ঘটনার তথ্য জোগাড় করতে গিয়ে মৃতের পরিবার জানতে পারে পাম্পের এক কর্মী রাজু বিশ্বাস পাম্পের মালিকের মদতে তার উপর আক্রমণ নামিয়ে আনে। দিলীপ বাবুকে রড দিয়ে আঘাত করা হয়।এই অবস্থায় দীর্ঘক্ষণ পরে থাকার পর তাকে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হয়।
এই ঘটনায় শহরে নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে কিভাবে দিন দুপুরে একটা মানুষ খুন হয়ে গেল আর পুলিশ প্রশাসন দায়সারা গোছের এক তদন্ত করে এক কর্মীকে গ্রেফতার করলো।পরিবারের দাবি অবিলম্বে সঠিক তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে।