কলকাতা, ৯ জানুয়ারি, ২০২৪: ক্যানসারের মতো মারণ রোগের সঙ্গে লড়ছিলেন। তার মধ্যেই আবার সেরিব্রাল স্ট্রোক। আপ্রাণ চেষ্টা করেও শেষরক্ষা হল না। মাত্র ৫৫ বছর বয়সে প্রয়াত উস্তাদ রাশিদ খান (Ustad Rashid Khan)।
উস্তাদ রাশিদ খান ১৯৬৮ সালের ৩ মার্চ উত্তরপ্রদেশের রামপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা উস্তাদ আলি আকবর খান ছিলেন একজন বিখ্যাত শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী। ছোটবেলা থেকেই সঙ্গীতের হাতেখড়ি পান রাশিদ। মাত্র ১০ বছর বয়সেই দিল্লিতে একটি কনসার্টে গান গেয়েছিলেন তিনি।
উস্তাদ রাশিদ খান রামপুর-সহসওয়ান গায়কির শিল্পী ছিলেন। এই ঘরানারই শিল্পী উস্তাদ নিসার হুসেনের কাছে তালিম নেন। পণ্ডিত ভীমসেন জোশীর খুবই কাছের মানুষ ছিলেন রাশিদ। তাঁকে দেশের শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ভবিষ্যত্ বলেছিলেন পণ্ডিতজি। নিয়মিত তাঁদের মধ্যে সঙ্গীত নিয়ে চর্চা হতো।
শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ভিত হলেও বলিউড ও টলিউডের একাধিক সিনেমায় গান গেয়েছেন উস্তাদ রাশিদ খান। 'জব উই মেট' সিনেমায় 'আওগে যব তুম সজনা' গানের মাধ্যমে সারা দেশের মন জয় করে নেন তিনি। শাহরুখ খানের 'মাই নেম ইজ খান' সিনেমায় 'আল্লা হ্যায় রহেম' গানটি গেয়েছেন শিল্পী। 'মান্টো'র 'বোল কে লব আজাদ হ্যায়' থেকে 'মিতিন মাসি'র 'বরসাত সাওয়ান'— প্রত্যেক গানে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন শিল্পী।
উস্তাদ রাশিদ খান ২০০৬ সালে পদ্মশ্রী পেয়েছিলেন। সেবছরই সঙ্গীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার পান তিনি। ক্যানসারের সঙ্গে বহুদিন ধরে লড়ছিলেন শিল্পী। তার মধ্যেই স্ট্রোক। অবশেষে থামল লড়াই।
উস্তাদ রাশিদ খানের মৃত্যুতে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত জগতের এক অপূরণীয় ক্ষতি হল। তাঁর মতো শিল্পীদের মৃত্যু নেই। কারণ তাঁরা সুরের আকাশের উজ্জ্বল শুকতারা। তাঁদের কণ্ঠ থেকে যাবে আপামর ভক্ত শ্রোতার হৃদয়ে চিরভাস্বর হয়ে।