খাদ্য ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম সুইগি আসন্ন আইপিওর (প্রাথমিক জনপ্রিয় অফার) আগে ব্যয় কমানোর পদক্ষেপের অংশ হিসেবে প্রায় ৪০০ কর্মী, অর্থাৎ তাদের কর্মীবাহিনীর প্রায় ৬%, ছাঁটাই করছে। এই ছাঁটাই প্রযুক্তি, বিক্রয় এবং গ্রাহক সেবা সহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মীদের ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
গত এক বছরে সুইগির এটি দ্বিতীয় ছাঁটাই। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে কোম্পানি ৩৮০ জন কর্মী ছাঁটাই করেছিল।
সুইগি লাভজনকতা উন্নত করতে এবং তাদের আইপিওর জন্য প্রস্তুতি নিতে এই ছাঁটাই করছে। কোম্পানি প্রতিদ্বন্দ্বী জোমাটোর কঠোর প্রতিযোগিতার মুখোমুখি রয়েছে এবং লাভ অর্জনে বেগ পেতে হিমশিম খাচ্ছে।
কর্মী এবং শ্রমিক সংগঠন এই ছাঁটাইয়ের সমালোচনা করেছে। তারা যুক্তি দিচ্ছেন যে ছাঁটাই অন্যায় এবং সুইগির কর্মীদের চাকরি রক্ষার জন্য আরও কিছু করা উচিত।
সুইগি ছাঁটাইয়ের পক্ষে অবস্থান করেছে, বলেছে যে কোম্পানির दीर्घমেয়াদী টিকে থাকার জন্য এটি অপरिहार্য। কোম্পানি আরও বলেছে যে তারা ছাঁটাইকৃত কর্মীদের বিচ্ছেদ প্যাকেজ প্রদান করছে।
সুইগির ছাঁটাই ভারতীয় স্টার্টআপ পরিবেশে কাজ কমানোর বৃহত্তর প্রবণতার একটি অংশ। অনেক স্টার্টআপ সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে কঠোর আঘাত পেয়েছে এবং অর্থ বাঁচানোর জন্য কর্মীদের ছাঁটাই করতে বাধ্য হয়েছে।
সুইগির ছাঁটাই কোম্পানির আইপিও পরিকল্পনাকে কীভাবে প্রভাবিত করবে তা অস্পষ্ট। তবে, ছাঁটাই সম্ভবত সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কোম্পানির আর্থিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে উদ্বেগ বাড়াবে।
ভারতীয় স্টার্টআপ পরিবেশ এখনও তুলনামূলকভাবে স্বল্প বয়সী এবং অনেক স্টার্টআপ এখনও লাভজনক নয়। সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক মন্দা স্টার্টআপগুলির টিকে থাকা আরও কঠিন করে তুলেছে। সুইগির ছাঁটাই অনেক ভারতীয় স্টার্টআপের মুখোমুখি হওয়া চ্যালেঞ্জের একটি লক্ষণ।
সুইগি এই চ্যালেঞ্জগুলি কাটিয়ে উঠতে এবং লাভজনকতা অর্জন করতে পারবে কিনা তা এখনও দেখা যায়। তবে, ছাঁটাই কোম্পানি তাদের আর্থিক স্বাস্থ্য উন্নত করার পদক্ষেপ নিচ্ছে তার একটি সুস্পষ্ট ইঙ্গিত।