দুর্গাপুর, ১৪ জানুয়ারি ২০২৪: দুর্গাপুরের ইস্পাত অঞ্চলের অন্যতম সামাজিক দায়বদ্ধতা নিয়ে কাজ করে চলেছে তানসেন অ্যাথলেটিক ক্লাব। এলাকার ক্রীড়া মনস্কতা গড়ে তুলতে তানসেন অ্যাথলেটিক ক্লাব এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। যার জেরে একাধিক ক্রীড়াবিদ উপহার দিয়েছে শহরকে। তানসেন অ্যাথলেটিক ক্লাবেরই আজ ৬০তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালন হলো।
ক্লাবের প্রতিষ্ঠা দিবসে একাধিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকলো এলাকাবাসী। বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী পূরবী মুখোপাধ্যায় এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন গায়ক সৌমেন রায়ের অনবদ্য সুরে মাখলো দুর্গাপুর। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংকলন মুখার্জি ।সুরে যেন এক উষ্ণতার ছোঁয়া এনে দিলো তাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আগে ক্লাবে উপস্থিত হয়েছিলেন একাধিক বিশিষ্ট অতিথি। দুর্গাপুর ইস্পাত অঞ্চলের একাধিক আধিকারিকরা উপস্থিত হয়ে ক্লাবের এই অনুষ্ঠানটিকে অন্য মাত্রায় নিয়ে যায়। তাদের সম্বর্ধনা দিয়ে শুধু ক্ষান্ত থাকেনি ক্লাব কর্তৃপক্ষ।উপস্থিত ছিলেন বিকাধ মানওয়াটি ডিএসপি ইডি পি এন্ড এ,ছিলেন অঞ্জনী কুমার ডিএসপি চিফ পার্সোনাল ম্যানেজার পি এন্ড এ,ছিলেন দীপেন্দু ঘোষ ইডি ওয়ার্কস।ক্লাবের প্রতিষ্ঠার সময় থেকে যিনি আছেন দুর্গাপুরের অন্যতম সফল ক্রীড়াবিদ সুখময় বোস তার উপস্থিতি অনুষ্ঠানকে আরো উজ্বল করেছে।উপস্থিত ছিলেন ইস্পাত ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের পক্ষ থেকে বিশ্বরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
তাদের সমর্থন দেওয়ার পাশাপাশি তাদের বক্তব্য উঠে এলো তানসেন অ্যাথলেটিক ক্লাব এর ঐতিহ্য। হিন্দুস্তান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সভাপতি বিশ্বরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার একাধিক আধিকারিক। তাদের বক্তব্যে তারা তুলে ধরেন তানসেন অ্যাথলেটিক ক্লাব এর অনন্য নজির এবং সৃষ্টির কথা। যে কাজের মাধ্যমে দুর্গাপুর ইস্পাত অঞ্চলে ক্রীড়া পরিবেশ গড়ে তুলতে এক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এই ক্লাব।অনুষ্ঠানের শুরুতে খাটগরিয়া আদিবাসী স্কুলের সুন্দর নাচের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।
ক্লাব এর মাধ্যমে এলাকার কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে ক্রীড়া মানসিকতা গড়ে উঠছে। যখন দেশে-বিদেশে কিশোর-কিশোরীদের মনে বিরূপ প্রভাব বিস্তার করেছে সোশ্যাল মিডিয়া এবং কমপিউটার জগৎ, সেখানে দাঁড়িয়ে কিশোর-কিশোরীদের খেলার মাঠ উপহার দিয়েছে তানসেন অ্যাথলেটিক ক্লাব। সেই মাঠেই গড়ে উঠছে একাধিক ভবিষ্যতের ক্রীড়াবিদ।
প্রবল শীতের মধ্যেও দর্শকরা মাঠ ছেড়ে যায়নি। সুরের মূর্ছনায় উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছিল।
ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানান, আগামীতেও এই ক্লাব এলাকার ক্রীড়া পরিবেশ গড়ে তুলতে কাজ করে যাবে।