মার্কিন কোম্পানিগুলো ভিয়েতনামে ঢলছে
- বিকল্প বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশটিকে বেছে নিচ্ছে বিনিয়োগকাররা
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভিয়েতনামে মার্কিন কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগের পরিমাণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, কারণ কোম্পানিগুলো চীনের বিকল্প খুঁজছে। ভিয়েতনামের কম শ্রমিক খরচ, স্থিতিশীল সরকার এবং ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত শ্রেণী বিদেশি বিনিয়োগকারদের জন্য এটিকে একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য করে তুলেছে।
২০২৩ সালে ভিয়েতনামে মার্কিন বিনিয়োগ ৯.২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা ২০২২ সালের ৭.৫ বিলিয়ন ডলারের চেয়ে বেশি। এই বৃদ্ধির পিছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে, এর মধ্যে রয়েছে মার্কিন-চীন বাণিজ্য যুদ্ধ, যা মার্কিন কোম্পানিগুলোর জন্য চীনে ব্যবসা করাকে আরও ব্যয়বহুল করে তুলেছে।
হো চি মিন সিটি ইউনিভার্সিটি অফ ইকোনমিক্সের একজন অর্থনীতিবিদ ডঃ নুগুয়েন থি হং বলেন, "ভিয়েতনাম মার্কিন কোম্পানিগুলোর জন্য একটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে। দেশটির প্রস্তাব দেওয়ার অনেক কিছুই রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে কম শ্রমিক খরচ, একটি স্থিতিশীল সরকার এবং একটি ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত শ্রেণী।"
যেসব খাতগুলো সবচেয়ে বেশি মার্কিন বিনিয়োগ আকর্ষণ করেছে, সেগুলো হলো উৎপাদন, প্রযুক্তি এবং অর্থ। উদাহরণস্বরূপ, ২০২৩ সালে, ইন্টেল ভিয়েতনামে একটি নতুন চিপ কারখানায় ৩.৩ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগের ঘোষণা করে। এবং ২০২২ সালে, অ্যাপল ভিয়েতনামে তার এয়ারপডের উৎপাদন শুরু করে।
ভিয়েতনামি সরকার মার্কিন বিনিয়োগের ঢলকে স্বাগত জানিয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, বিদেশি কোম্পানিগুলোর জন্য ভিয়েতনামে ব্যবসা করা সহজতর করার জন্য সরকার বেশ কিছু সংস্কার করেছে। উদাহরণস্বরূপ, সরকার ব্যবসায় লাইসেন্সিং প্রক্রিয়াটিকে সহজ করেছে এবং বিদেশি কোম্পানিগুলোর জন্য কর কমিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ফাম মিন চিন বলেছেন, "আমরা বিদেশি বিনিয়োগকারদের জন্য একটি স্বাগত পরিবেশ গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে বিদেশি বিনিয়োগ ভিয়েতনামের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।"
ভিয়েতনামে মার্কিন বিনিয়োগ বৃদ্ধি আগামী বছরগুলোতেও অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।