ব্রিগেডের মাঠে ঐতিহাসিক সমাবেশের হুঙ্কার দিল যুব সংগঠনের অন্যতম নেতৃত্ব ধ্রুবজ্যোতি সাহা। গত ৫০ দিন ধরে চলা ইনসাফ যাত্রা শেষে আজ ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড ছিল মানুষের দখলে। সমাবেশ সুনামির রূপ নিয়েছিল সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ধ্রুবজ্যোতি সাহা তুলে ধরেন ৫০ দিন ধরে চলে আসা যাত্রার বিভিন্ন জেলার ঘটনা বিবরণ।
চা শ্রমিকের তার যন্ত্রণার কথা কিভাবে তার পরিবার তার আয় উপার্জন করে চলেছে অভাব-অনটনের মধ্যেও তুলে ধরেন কাজ হারানো শ্রমিকের যন্ত্রণার কথা কিভাবে কারখানা বন্ধের প্রভাব তার তাদের সংসার জীবনে পড়েছে কিভাবে এক ছাত্র শিক্ষার খরচ তুলতে মুটে মজুরের কাজ করছেন। এভাবেই ইনসাফ যাত্রা ৫০ দিনের সারাংশ তিনি সমাবেশে আগত অসংখ্য মানুষের মাঝে তুলে ধরেন।
এরপর তিনি বলেন যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ৯০% কাজ করে দেওয়ার দাবি করেন সেই রাজ্যের এত অভাব শুধু অভাবে মধ্যেই তিনি থেমে থাকেনি তিনি বলেন ২০১৪ থেকে রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির বেড়াজালে প্রতারিত চাকরিপ্রার্থীরা তাই চাকরির দাবিতে তাদের রাস্তায় নামতে হয়েছে।
চাকরির নিয়োগপত্র হাতে পাননি তাই রাস্তা হয়েছে তাদের প্রতিবাদের পথ। 400 দিনের বেশি ধরে তারা প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছে এটা কি রাজ্যের ভবিষ্যৎ হবে তিনি ব্রিগেডে আগত মানুষদের সামনে এই প্রশ্নই তুলে ধরেন বাংলার মুক্তির দাবিতে ইনসাফ যাত্রার সূচনা যদিও তিনি বলেন ব্রিগেড সমাবেশের মধ্য দিয়ে এই যাত্রার শেষ হবে না বরং শুরু হলো এই যাত্রার বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে এবং সেই ঘর থেকেই উঠে আসবে মুক্তির বাণী যা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে প্রধান শক্তি হয়ে উঠবে তিনি বলেন বাংলার যুব সমাজ আজ প্রতারিত একদিকে কেন্দ্রীয় সরকার ধর্মের ভিত্তিতে মানুষকে বিভাজনের রাজনীতি দিয়েছে অন্যদিকে রাজ্যে সরকারি প্রকল্পের রাজধানী প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে এই দুই সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে ।এই লড়াই কোন ভোটের লড়াই নয় বরং মানুষের অধিকার সুরক্ষিত রাখার প্রশ্নে লড়াই আজ সম্পূর্ণ রূপ দিতে তৈরি ব্রিগেড সমাবেশ এর মধ্য দিয়ে। ব্রিগেড সমাবেশ শেষে লড়াইয়ের বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া।তিনি বলেন একদিকে কেন্দ্রীয় সরকার বলছে বেটি পড়াও বেটি বাঁচাও অভিযান কিন্তু বিজেপি শাসিত রাজ্য গুলো তে মহিলাদের অসুরক্ষিত চিত্র স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে একদিকে হাথ্রাস এর মত ঘটনা আরেক দিকে শিক্ষাঙ্গনে বেনারসের মত হিন্দু ইউনিভার্সিটি তে মহিলাদের উপর চরম অত্যাচার এই ঘটনার প্রমাণ করছে বিজেপি মহিলাদের নিরাপত্তা দিতে চরমভাবে ব্যর্থ অন্যদিকে রাজ্যে প্রসঙ্গ টেনে ধরে বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা হয়েও কিভাবে মহিলাদের ধর্ষণের তিনি ক্ষতিপূরণ ঠিক করে দেন এটাতে কি প্রমান হচ্ছে তিনি মহিলাদের সুরক্ষিত রাখার প্রশ্নে কতটা ব্যর্থ তাই বাংলার এই অসহনীয় পরিস্থিতির পরিবর্তন করতে রাস্তায় নামতে তিনি আবেদন জানান রাজ্যের যুবসমাজকে।
আজকের সমাবেশের মেজাজ অনেকটা এরকমই রাজ্যের মুক্তির দাবিতে গোটা রাজপথ ছিল ইনসাফের দাবিতে রাজপথে যুবদের দখলে। ২০০৮ সালে পরে ঠিক ১৫ বছর পর আবার যুবদেরকে ব্রিগেড সমাবেশ কার্যত জনপ্লাবনে রূপ নিলো।