দেশ জুড়ে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ক্ষেত্রে ইস্পাত শিল্পে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সিআইটিইউ , সেই ডাক কে সমর্থন জানিয়েছে একাধিক ট্রেড ইউনিয়ন। বেশ কিছু বছর ধরে বকেয়া রয়েছে বেতন।সেইলে এখনো পর্যন্ত ঠিকা শ্রমিকদের কোনো বেতন চুক্তি সম্পাদন হয় নি ফলে শোষণ ও বঞ্চনার জালে বন্দি শ্রমিকরা। এর মধ্যে স্থায়ী শ্রমিকদের ক্ষেত্রে মৌ চুক্তি সম্পাদন হয়েছে , সেখানে শ্রমিক বিরোধী চুক্তি বলে আখ্যা দিয়ে সিআইটিইউ ,বিএমএস সই করেনি। গোটা ইস্পাত ক্ষেত্রে আন্দোলনের তীব্রতা বাড়ে।
যৌথ শ্রমিক সংগ্রাম কমিটি গঠন হয় সেখানে অন্যান্য শ্রমিক সংগঠন জড়ো হয়।শুরু হয় আন্দোলন ভিলাই বোকারা এবং দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় শ্রমিক ঐক্য গড়ে ওঠে। দাবি ওঠে বকেয়া ৩৯ মাসের বর্ধিত বেতনের এছাড়াও ঠিকা শ্রমিকদের বেতন কাঠামো গঠনের দাবি।
যৌথ শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ঘোষণা হয় কর্তৃপক্ষ দাবি না মানলে দেশজুড়ে সেইলে দুইদিনের ধর্মঘটে যাবে শ্রমিক শ্রেণী। সেই লক্ষ্যে আজ দেশের রাষ্ট্রায়ত্ব শিল্পক্ষেত্রে ধর্নঘটের নোটিস দেওয়া হয়।সেই লক্ষ্যে দুর্গাপুরের এ এস পি কারখানতেও নোটিশ দেওয়া হয়।নোটিশ দেওয়াকে কেন্দ্র করে শ্রমিকদের উৎসাহ চোখে পড়ার মতন।কর্তৃপক্ষের অসম্মানজনক আচরণের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের ব্যাপক ক্ষোভ কারখানায়।তারই বহিপ্রকাশ দেখা গেলো আজকের বিক্ষোভ সভায়।
এ এস পি কারখানার জি এম অফিসে এই নোটিশ দেওয়া হয় , আজকের সভায় সিআইটিইউ ও এইচ এম এস যৌথভাবে নোটিস দেয়।সভায় দীর্ঘক্ষণ ধরে স্লোগান হয়।সভায় সভাপতিত্ব করেন সিআইটিইউ নেতা সুমনব্রত দাস , সভায় বক্তব্য রাখেন সিআইটিইউ ঠিকা শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বিশ্বজিৎ ধর চৌধুরী , হিন্দুস্থান স্টিল এমপ্লিইজ ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন নবেন্দু সরকার।এইচ এম এস ইউনিয়নের লক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন অনুপম চৌধুরী।
সভায় বক্তব্যের নির্যাস শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষিত রাখতে যৌথ আন্দোলনের বিকল্প নেই।সেইসঙ্গে কর্তৃপক্ষের শ্রমিক বিরোধী অবস্থানের তীব্র নিন্দার পাশাপাশি অবিলম্বে বকেয়া বেতন চুক্তির দাবিতে দুই দিনের ধর্নঘট কে সমর্থন জানানো হয়।সভা শেষে নোটিস দেওয়া হয়।