লখনউ, ১৫ জানুয়ারী, ২০২৪: আজ ভারতের সাহিত্য জগতে গভীর শোক নেমে এলো যখন খ্যাতনামা উর্দু কবি মুনাওয়ার রানা লখনউয়ের পিজিআই হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স ছিল 71 বছর।
দীর্ঘদিন যাবৎ অসুস্থ থাকার পর আজ হঠাৎ হৃদরোগে রানা পরলোকগমন করেন। এই খবরে ভারতীয় সাহিত্যিক মহলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে, সারা দেশ ও বিদেশ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়েছে।
1952 সালে উত্তর প্রদেশের রায়বরেলিতে জন্মগ্রহণ করেন রানা। অল্প বয়সেই তাঁর কাব্যিক প্রতিভা ফুটে উঠে। তাঁর চিত্তাকর্ষক গজলের জন্য তিনি ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেন, যা সহজেই বোধগম্য এবং গভীর। তাঁর কবিতা কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে সাড়া জাগিয়েছে, প্রেম, বেদনা এবং জীবনের জটিলতার গল্প বুনেছে, প্রায়ই উর্দুর পাশাপাশি হিন্দি ও আওধি শব্দ ব্যবহার করেছেন।
রানার প্রভাব সীমানা ছাড়িয়ে গেছে। তিনি ভারত এবং বিদেশে অসংখ্য মুশায়রা (কবিতা আবৃত্তি) মঞ্চে দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন, তাঁর শক্তিশালী আবৃত্তি এবং গভীর অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে তাঁদের মুগ্ধ করেছেন। তাঁর কবিতা ভাষার বাধা অতিক্রম করে, জবান নির্বিশেষে হৃদয় স্পর্শ করে।
সাহিত্যিক প্রশংসার বাইরেও রানা ছিলেন সামাজিক ন্যায় ও মানবাধিকারের একজন সরব প্রবক্তা। কখনো ক্ষমতার কাছে মাথা নুইয়ে ছিলেন না, সমাজের বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করার এবং প্রান্তিক মানুষের পক্ষে কথা বলার জন্য তাঁর মঞ্চ ব্যবহার করতেন।
রানার চলে যাওয়া উর্দু সাহিত্য জগতে এক শূন্যতা রেখে গেছে। তাঁর পেছনে স্ত্রী, চার মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছেন। তিনি হয়তো চলে গেছেন, কিন্তু তাঁর শব্দ চলতে থাকবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম, তাঁর অস্বীকার্য প্রতিভার ও চিরস্থায়ী লেগ্যাসির সাক্ষী হয়ে।