দেশে আর্থিক বৈষম্যের মধ্যেও আদানির সম্পত্তির পরিনান আকাশ ছুলো, বিরোধীদের অভিযোগ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এই বৃদ্ধি।গত বছর হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টের পরে বাজারে বিক্রির ঝড় বয়ে যাওয়ার মধ্যে এক বছর পেরিয়ে গেলেও, ভারতীয় ব্যবসায়ী গৌতম আদানির সম্পদ ১০০ বিলিয়ন ডলারে ফিরে এসেছে। ফেব্রুয়ারি ২০২৩-এ সর্বনিম্ন ৩৭.৭ বিলিয়ন ডলার থেকে এই পুনরুদ্ধার বাজারে আস্থা ফিরে আসার এবং আদানি গ্রুপের শেয়ারের দাম বৃদ্ধিরই ইঙ্গিত দেয়।
আয় বৃद्धि এবং আইনি অগ্রগতি: সাম্প্রতিক এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বিভিন্ন কারণে ঘটেছে, এর মধ্যে রয়েছে গত সপ্তাহে আদানি এন্টারপ্রাইজেসের ১৩০% লাভের রিপোর্ট, যা ক্রমাগত আট দিন তাদের শেয়ারের দাম বাড়িয়েছে। এছাড়াও, ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ক্যাপিটাল মার্কেট রেগুলেটর সেবির দেওয়া পরিষ্কার অবস্থান বজায় রেখেছে, ফলে হিন্ডেনবার্গের অভিযোগের বিষয়ে আরও তদন্তের প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করা হয়েছে।
বর্তমান অবস্থান এবং দৃষ্টিভঙ্গি: বর্তমানে আদানি ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ারস ইনডেক্সে ১২তম স্থানে রয়েছেন, তার সহকর্মী মুকেশ আম্বানির ঠিক নিচে। বিশ্লেষকরা বিভিন্ন ধরনের পূর্বাভাস দিলেও, আদানি গ্রুপের বৈচিত্রপূর্ণ পোর্টফোলিও এবং কৌশলগত সম্প্রসারণ পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে অনেকেই তাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সাবধানে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তবে, কিছু বাজার পর্যবেক্ষক সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন, হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টের সাথে সম্পর্কিত আইনি প্রক্রিয়া চলমান থাকায় তারা ক্রমাগত স্বচ্ছতা এবং ন্যায়সঙ্গত প্রক্রিয়ার উপর জোর দিয়েছেন।