ভূমিকা:
বর্তমান বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটের প্রেক্ষাপটে দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা পূরণ এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য অফশোর গ্যাস উত্তোলন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এই নীতির সম্ভাব্য সুবিধা, ঝুঁকি এবং দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবগুলি বিশ্লেষণ করা এই প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য।
নীতির প্রেক্ষাপট:
- বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকটের কারণে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, যা দেশের জ্বালানি আমদানি খরচ বৃদ্ধি করেছে।
- দেশের বিদ্যুৎ ও গ্যাসের চাহিদা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা বিদ্যুৎ সরবরাহের নিরাপত্তায় ঝুঁকি তৈরি করেছে।
- বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য জ্বালানি তেলের উপর অতিরিক্ত নির্ভরতা জাতীয় অর্থনীতি ও পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।
নীতির মূল দিক:
- নতুন অফশোর গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধান ও আবিষ্কারে বিনিয়োগ বৃদ্ধি।
- বিদ্যমান অফশোর গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলনের পরিমাণ বৃদ্ধি।
- অফশোর গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন।
নীতির সম্ভাব্য সুবিধা:
- জ্বালানি নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং জ্বালানি আমদানি নির্ভরতা হ্রাস।
- বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ কমানো এবং বিদ্যুৎ সরবরাহের নিরাপত্তা বৃদ্ধি।
- জাতীয় অর্থনীতির উন্নয়নে অবদান রাখা।
- কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি।
নীতির সম্ভাব্য ঝুঁকি:
- পরিবেশগত ঝুঁকি, যেমন তেল ছড়িয়ে পড়া, সমুদ্রীয় জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি, এবং উপকূলীয় অঞ্চলের উপর প্রভাব।
- সামাজিক ঝুঁকি, যেমন স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবিকা ও জীবনযাত্রার উপর প্রভাব।
- অর্থনৈতিক ঝুঁকি, যেমন উচ্চ বিনিয়োগের খরচ, বাজারের অস্থিরতা, এবং দীর্ঘমেয়াদী লাভজনকতার অনিশ্চয়তা।
ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ:
- পরিবেশগত ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে কঠোর নিয়ম-কানুন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।
- আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার এবং পরিবেশগত প্রভাব নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা স্থাপন।
- স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সাথে সমন্বয় ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা.