মুম্বই, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪: সুপ্রতিষ্ঠিত আইনজীবী ফালি এস নরিমান মঙ্গলবার রাতে মুম্বইয়ের নিজ বাসভবনে প্রয়াত হয়েছেন। তিনি বয়সে ৯৩ বছর বয়সী ছিলেন।
নরিমান ভারতের আইনজগতের অন্যতম শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তার দীর্ঘ ও গৌরবময় কর্মজীবনে তিনি অসংখ্য ঐতিহাসিক মামলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। একজন বিশিষ্ট পণ্ডিত ও লেখক হিসেবে তিনি আইন, ইতিহাস ও রাজনীতি বিষয়ে ব্যাপক লেখালেখি করেছেন।
নরিমানের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ আইনজগত ও সাধারণ মানুষ। ভারতের প্রধান বিচারপতি এন. ভি. রমনা তাকে "ভারতীয় আইনজগতের একটি বিশাল ব্যক্তিত্ব" আখ্যা দিয়ে বলেছেন, তার মৃত্যু "গোটা জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি"।
সিনিয়র অ্যাডভোকেট মুকুল রোহাতগি বলেছেন নরিমান "আইনি পেশায় একজন কিংবদন্তি" এবং "অনেক প্রজন্মের আইনজীবীকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন"।
সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেছেন নরিমান "একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক" এবং "জীবন জুড়ে আইনের শাসনকে সমুন্নত রেখেছিলেন"।
নরিমানের বড় ছেলে রোহিন্টন নরিমন ভারতের সুপ্রিম কোর্টে বিচারক হিসেবে কাজ করছেন।নরিমন ১৯৩০ সালে করাচিতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মুম্বাইয়ের সরকারি আইন কলেজ থেকে আইন অধ্যয়ন করেন এবং 1953 সালে আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন।
তিনি দ্রুত নিজেকে একজন শীর্ষস্থানীয় আইনজীবী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন এবং ভারতের সুপ্রিম কোর্টে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলা লড়েন। তার উল্লেখযোগ্য কয়েকটি মামলা হল- কেশবানন্দ ভারতী মামলা, মিনার্ভা মিলস মামলা এবং এসআর বোমাই মামলা।নরিমন একজন বিখ্যাত পণ্ডিত ও লেখক ছিলেন। তিনি আইন, ইতিহাস এবং রাজনীতির উপর বেশ কিছু বই লিখেছেন, যার মধ্যে রয়েছে "ভারতের সংবিধান: ইটস স্পিরিট অ্যান্ড ইটস স্ট্রাকচার" এবং "ইন্ডিয়ান গান্ধী কেস: এ ক্রিটিক্যাল কেস"। 2007 সালে, নরিমান ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মভূষণে ভূষিত হন।