ইনসাফের বার্তা গ্রামে গ্রামে তার জ্বলন্ত উদাহরণ দেখলো সন্দেশখালী , ২০১১ সালের রাজনৈতিক পালাবদলের পির থেকেই বামেদের নিষিদ্ধ করে দেয়।তারপর জল অনেকদূর গড়িয়েছে । বঙ্গের রাজনীতিতে ধীরে ধরে ঘর গুছিয়ে ফসল তুলছে বিজেপি।২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বামেদের দারুন লড়াই চিন্তায় ফেলেছিল শাসক তৃণমূলকে।কিন্তু বিজেপি রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক হওয়ায় প্রতিষ্ঠান বিরোধী ভোট ও রাজনীতি ও বিভক্ত হয়ে পড়ে।অবশ্য এই রাজনীতির সমীকরণ একদিনে হয়নি , ধর্মীয় বিভাজন এই রাজনীতিকে পুষ্ট করেছে।
তবু বামেদের ভূমিকা কৃতিত্বের দাবি রাখে , যেভাবে বিপিএমও গঠন করে লং মার্চ করে বঙ্গের রাজনীতিতে বামেদের এটাই ছিলো প্রথম লড়াইয়ের ইঙ্গিত ক্ষমতা চলে যাওয়ার পর।সেই মিছিল যেভাবে আক্রান্ত হয় তা সবাই দেখেছে , গ্রামের আলপথ বেয়ে এগিয়ে চলা মিছিল আক্রান্ত হয়েছিল সেদিন।বীরভূমে বামেদের প্রাক্তন বিধায়ক ধীরেন লেট কে ও তার পরিবারকে নগ্ন করে হাটানোর চেষ্টা হয়।সেদিন বোঝা গেছিল গ্রামের গণতন্ত্র কতটা ধ্বংসের মুখে।সন্ত্রাসে মুখ বন্ধ হয়ে যায় প্রতিবাদের।
সময় যতই এগিয়েছে বাম সমর্থকদের জমি কেড়ে নেওয়া , জরিমানা আদায় গ্রামে গ্রামে যাতে ভবিষ্যতে বাম সমর্থকদের মাথা নিচু করে থাকতে হয়।না থামেনি বরং আবার চেষ্টা হয় গ্রামে সংগঠন কে বিস্তার করার ।এবার ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত শাসক দল তৃণমূলের ভয় তখনও কাটেনি।২০১৬ সালে বাম কংগ্রেস জোট ব্যাপক ভোট বৃদ্ধি চাপেই রেখেছিল তৃণমূলকে।তাই ২০১৮ বামেদের উপস্থিতি শূন্য করতে হবে। সেই চেষ্টা চোখের সামনে নির্বাচনে মনোনয়ন দিতেই দেওয়া হয়নি ৭০ শতাংশ আসনে।কার্যত বিরোধী শূন্য পঞ্চায়েত কায়েম হয়।অদ্ভুত ভাবে গ্রামে ভোট প্রচারে যেখানে বামেদের প্রতিরোধ করতে সভা করতে হয়েছিল সেখানে বিজেপি এর সভা গুলি প্রতিরোধ বিহীন।সভার সারাংশ ঘটলে বিজেপি নেতাদের হুমকি কোনো দুষ্কৃতীদের ভাষা মনে হচ্ছিল।
বামেদের অভিযোগ বিজেপি এর সাথে গোপন বোঝাপড়াতেই সম্ভব হয়েছিল এই ধরণের বক্তব্য।মেকি বিরোধিতার রাজনৈতিক আবহাওয়ার মধ্যে বিজেপি এর পদার্পন ঘটে গ্রাম বাংলায়।তাহলে স্বাভাবিক প্রশ্ন বামেদের শূন্যস্থান কিবতবে বিজেপি পেলো না আর চিত্রপট বাকি রয়েছে।যেখানে তৃণমূল বিরোধী ভোটারদের রাজনৈতিক আশ্রয় খোঁজার চেষ্টা শুরু হলো।সামনেই লোকসভা ২০১৯ কার্যত প্রতিরোধ গড়ে না তুলে বামেদের অপ্রাসঙ্গিক করার ভোট প্রচারে পরিণত করে তৃণমূল থেকে বিজেপি।তাতেও বামেদের কর্মসূচি থেমে থাকে নি একাধিক জায়গায় আইন অমান্য কর্মসূচি হয় নেমে আসে শাসকের শাসন যন্ত্র।গ্রেফতার থেকে মামলা কোনটাই বাদ যায় নি বাম নেতাদের বিরুদ্ধে।এর মধ্যে শুরু হয় নেতৃত্বের ব্যাটন তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া।একঝাঁক তরুণ দের আবির্ভাব হয় বামেদের নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে।উঠে এলো সায়নদীপ,প্রতিকুর রহমান,দিপস্বীতা, মীনাক্ষী,ঐশী,সহ একাধিক নাম।বামেদের ভোট রামে এই প্রচারের পাশাপাশি বিজেপি এর প্রচার তৃণমূলকে একমাত্র হারাবে বিজেপি।
এদিকে বাম যুব সংগঠন থেমে থাকে নি পাড়ায় পাড়ায় আলোচনা চালিয়ে নিয়ে গেছেন।কোভিড পরিস্থিতিতে রেড ভলান্টিয়ার এর কর্মসূচি দারুন ভাবে সারা ফেললেও তা সংগঠনের বৃদ্ধি হচ্ছে না।হাল ছাড়েনি তবু লড়ে গেছেন তারা।এর মধ্যেই ঘটে গেছে একাধিক ঘটনা আনিস খানের মৃত্যু তাকে ঘিরে প্রথম লড়াইয়ের সূত্রপাত।।
চলবে -২ পর্ব