জেনেভা ভিত্তিক বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডাব্লুটিও) সম্প্রতি আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত ১৩তম মন্ত্রী সম্মেলনে কোনো উল্লেখযোগ্য চুক্তি সম্পাদনে ব্যর্থ হওয়ায় নতুন বিশ্ব বাণিজ্য নিয়ম প্রণয়নের ক্ষেত্রে এর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সম্মেলনটি, যেখানে ১৬০টিরও বেশি দেশের বাণিজ্য মন্ত্রীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন, তার লক্ষ্য ছিল জরুরি বিষয়গুলোর সমাধান করা। এগুলোর মধ্যে ছিল মৎস্য ভর্তুকি, ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণ, এবং চলতি মহামারীর বিশ্ব বাণিজ্যে সৃষ্ট নেতিবাচক প্রভাব। কিন্তু সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বৌদ্ধিক সম্পত্তি অধিকার, কৃষি ভর্তুকি ইত্যাদি বিভিন্ন ইস্যুতে মতবিরোধের কারণে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন করা সম্ভব হয়নি।
বিশ্ব বাণিজ্যে ক্রমবর্ধমান সুরক্ষাবাদী নীতি এবং বিকল্প বাণিজ্য ব্লকের আবির্ভাবের ফলে ইতিমধ্যেই যেসময় ডাব্লুটিও হিমশিম খাচ্ছিল, সেসময় এ ধাক্কাটি সংস্থাটির জন্য নেতিবাচক বার্তা বয়ে এনেছে। বিবর্তমান বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে ব্যর্থ হওয়ায় এর কার্যকারিতা এবং বৈধতা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
ব্যর্থ সম্মেলনের পরিপ্রেক্ষিতে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আলোচনার প্রধান মঞ্চ হিসেবে নিজেদের অবস্থান পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে ডাব্লুটিও এখন 'ক্ষতি নিয়ন্ত্রণে' মনোনিবেশ করছে। সংস্থার নেতৃত্ব সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সমঝোতা এবং বর্তমান মতানৈক্যগুলো দূরীকরণে অব্যাহত আলোচনার ওপর গুরুত্ব আরোপ করছে।
তবে সংস্থাটির ভবিষ্যত অনিশ্চিতই রয়ে গেছে। আবুধাবি সম্মেলনের ব্যর্থতা এর সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। সংস্থাটি চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে কি না তা সময়ই বলে দেবে।