বেইজিং: চীনে একটি তীব্র শীতল ঢেউ আঘাত হেনেছে, দক্ষিণাঞ্চলের অঞ্চলে ৬-১২°C তাপমাত্রা কমিয়ে ভारी তুষারপাত এনেছে। কর্তৃপক্ষ একটি কমলা সতর্কতা জারি করেছে, যা দেশের তিন স্তরের সিস্টেমের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এই আবহাওয়া পরিবহন ও দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে স্থবির করে দিয়েছে।
এই ঘটনা চীনের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় চলমান প্রচেষ্টার বর্তমান পরিস্থিতি উদঘাটন করেছে। কার্বন-নিবিড় শিল্পের প্রতি নির্ভরতা এবং সাম্প্রতিক প্রতিকূল আবহাওয়া পরিস্থিতি ২০২৫ সালের জন্য দেশের উচ্চাকাঙ্ক্ষী জলবায়ু লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে।
প্রতিক্রিয়ায়, চীন সৌর ও বায়ুশক্তির মতো নবায়নযোগ্য শক্তি উৎসের দিকে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে। তবে, কোভিড-১৯ মহামারী থেকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এই প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করছে। ক্রমবর্ধমান শক্তি চাহিদা ও পরিষ্কার শক্তি অবকাঠামোতে বিনিয়োগের প্রতি চাপ প্রয়োগ করছে।
এদিকে, দক্ষিণ ইউরোপ ও উত্তর আফ্রিকায় খরা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক আকার ধারণ করেছে। ভূগর্ভস্থ জলস্তর কমে যাওয়া ও কৃষি কার্যক্রম বিঘ্নিত হওয়ায় চিন্তার কারণ রয়েছে। উপরন্তু, জাহাজ চলাচলের ফলে সৃষ্ট শব্দ प्रदूषण তিমি সহ সামুদ্রিক জীবনের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে।
এই পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য জরুরী পদক্ষেপ ও উদ্ভাবনী প্রয়োজন। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও পরিবেশগত টেকসইত্বের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে চীনের উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রচেষ্টার সাফল্য অনুরূপ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা অন্যান্য দেশের জন্য মূল্যবান নির্দেশনা হিসেবে কাজ করবে।