পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে এখনও কোনো দলই স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। বর্তমান ফলাফলে প্রধান দুই দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের আশ্চর্যজনক সফলতা অর্জনের ফলে জটিল একটি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এতে করে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বিশেষ করে ইমরান খানের পিটিআই দল ফলাফল বিলম্বের বিষয়ে উচ্চপদস্থ কর্তৃপাক্ষে অভিযোগ জানিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে।
যদিও কিছু আসনের চূড়ান্ত ফলাফল এখনও পাওয়া যায়নি, তবে বর্তমান হিসাবে প্রাপ্ত ফলাফল একটি বিভক্ত চিত্র তুলে ধরে। খানের পিটিআই প্রায় 30% ভোট পেয়ে সবচেয়ে বড় দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে, কিন্তু জাতীয় পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে প্রয়োজনীয় 136 আসনের নিচে রয়েছে। তার প্রধান प्रतिদ্বন্দ্বী নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন প্রায় 24% ভোট পেয়েছে, ফলে তার অবস্থানও একই রকম।
নির্বাচনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হল স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভোট বৃদ্ধি। অনেকের বিশ্বাস, এই স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বেশিরভাগই ইমরান খানের সমর্থন পেয়েছেন। এই স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মিলিতভাবে প্রায় 21% ভোট পেয়েছেন, যা ইঙ্গিত দেয় যে খানের প্রতিষ্ঠানবিরোধী বার্তা এখনও ভোটারদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশের কাছে গ্রহণযোগ্য।
এই বিভক্ত ফলাফলের ফলে জটিল একটি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কোনো দলই নিজের মতো সরকার গঠনের ক্ষমতা রাখে না, ফলে জোট বাঁধানোর আলোচনা এখন সময়ের দাবি। খান এবং শরিফ উভয়ই পরবর্তী সরকার পরিচালনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, কিন্তু উভয়কেই কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে হবে। ফলাফল বিলম্ব এবং কারচাকির অভিযোগ নিয়ে খানের দল আরও উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে, তার সমর্থকরা ফলাফল প্রকাশে দ্রুত গতি বাড়ানোর দাবিতে রাস্তায় নেমেছে।
পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) স্বচ্ছ নির্বাচনের আশ্বাস দিয়েছে এবং বিলম্বের কারণ হিসেবে প্রযুক্তিগত সমস্যা উল্লেখ করেছে। তবে, খানের দল এতে সন্তুষ্ট না হয়ে দ্রুত ও স্বচ্ছভাবে গণনা শেষ করার দাবি জানিয়েছে।