বাজার অগ্নিমূল্য আরেকদিকে কর্মসংস্থানের সুযোগ কমছে এমন ইস্যু নিয়েই এবার হাজির কংগ্রেস সমর্থিত সিপিআইএম প্রার্থী ডক্টর সুকৃতি ঘোষাল ।তিনি তুলে ধরছেন সাধারণ মানুষের রুটি-রুজির প্রশ্ন তিনি তুলে ধরেছেন সাধারণ মানুষের প্রতিদিনের জীবনযাত্রার কষ্টের যন্ত্রণার কথা হয়তো এটাই আরো দুটি প্রার্থীকে অনেকটাই আলাদা করে দিলো। একদিকে যখন দুর্গাপুর বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি এবং তৃণমূলের বাকযুদ্ধ শুরু হয়েছে অন্যদিকে একটু অন্য পথেই হাঁটলেন বাম প্রার্থী সুকৃতি ঘোষাল, তিনি তুলে ধরলেন বিগত কয়েক বছর ধরে দুর্গাপুরের বুকে একাধিক শিল্প বন্ধ হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থনীতির জেরে বন্ধ হয়েছে একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এবারের নির্বাচনে কোন শাসক দলের পক্ষ থেকে এসব দাবি উঠছে না যা হচ্ছে ব্যক্তিগত আক্রমণ ।সুকৃতি ঘোষালের হয়তো এটাই ইউএসপি দুর্গাপুরের বুকে শ্রমিকদের দুঃখ দুর্দশার কথা যে রকম উঠে আসছে ঠিক তেমনি দুর্গাপুরের আপামর বেকার যুবদের কথাও উঠে আসছে তার মুখে । তিনি বলেন নীতিনির্ধারক হয় লোকসভাতে সেই নির্বাচন এবার তাই সেই নির্বাচনে সেই সব কথাই উঠে আসা উচিত যেখানে নীতি নির্ধারণ হয়ে থাকে তাই এবারের লোকসভা নির্বাচনের ইস্যু শিল্প বাঁচানোর লড়াই দুর্গাপুর শহরকে রক্ষা করার ডাক ।
দুর্গাপুর ইস্পাত অঞ্চলে দুটি বাজারে তিনি প্রচার সারলেন প্রথমে পৌঁছালেন দুর্গাপুরের এজোন সংলগ্ন আশীষ মার্কেট অঞ্চলে একাধিক দোকানদারদের সঙ্গে তিনি কথা বলেন এবং দোকানের সাথে যে ক্রেতারাও ছিলেন সেখানে তিনি বেশ কিছুক্ষণ কথা বললেন উঠল তাদের মুখ থেকেই দুর্গাপুরের আসল চিত্র। উঠে এলো দৈনন্দিন জীবনযাত্রার কথা ব্যাগের থলিটা অনেকটাই ছোট হয়ে পড়েছে তাই এগুলোর নিরসনের জন্য এবার লোকসভা নির্বাচনে তারা ভর্তি থালা। এমনই কথা উঠে এলো একাধিক তাদের মুখে ।
সুকৃতি ঘোষাল বিভিন্ন ভোটারদের সঙ্গে কথা বলার মাঝেই তিনি বলেন নীতি বদলের লড়াই এবং বিকল্প নীতি প্রণয়নের লড়াইকে সফল করতে হবে দেশ বাঁচানোর স্বার্থে শহর বাঁচানোর স্বার্থে ।এবারের নির্বাচনী প্রচারে দেখা গেল একাধিক কংগ্রেস কর্মী কংগ্রেসের পতাকা নিয়ে।
আশীষ মার্কেট পরিক্রমা শেষ করেই তিনি ছুটলেন দুর্গাপুরের বিজোনের ব্যস্ততম বাজার মার্কেট চণ্ডীদাস বাজার।সেখানেও তিনি দেখা করলেন দোকানদার এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাথেও সেখানেও উঠে এলো বাজারদরের প্রসঙ্গ সেখানে উঠে এলো অগ্নিমূল্য সেখানে উঠে এল চাকরি কর্মসংস্থানের প্রশ্নে অর্থাৎ রাজনৈতিক মহলের মতে এভাবেই হয়তো দুই শাসকশ্রেণীর প্রার্থীদের অনেকটাই পিছনে ফেলে দিলেন। রুটি-রুজির কথা বলে মানুষের জীবনযাত্রা কথা বলে ।তাই বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের লড়াই হবে জমজমাট তা বলাই বাহুল্য ।