২০ মে, ২০২৪
পশ্চিমবঙ্গ — আজ পশ্চিমবঙ্গের লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফা শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে, যেখানে সাতটি সংসদীয় আসনে ব্যাপক ভোটার উপস্থিতি দেখা গেছে। পশ্চিমবঙ্গের প্রধান নির্বাচনী অফিসার জানিয়েছেন, বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৭৫.১৯%, যা ভোটারদের উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণ নির্দেশ করে।
সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলা ভোটগ্রহণে ১৩,৪৮১টি ভোটকেন্দ্র (৬টি সহকারী কেন্দ্র সহ) উপস্থিত ভোটারদের দীর্ঘ সারি লক্ষ্য করা গেছে। এই দফায় অন্তর্ভুক্ত ছিল নিম্নলিখিত আসনগুলো: বনগাঁ (এসসি), বারাকপুর, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, শ্রীরামপুর, হুগলি এবং আরামবাগ (এসসি)।
আসনভিত্তিক ভোটার উপস্থিতি
১. বনগাঁ (এসসি): ৭২.৭১%
২. বারাকপুর: ৭৪.৭৭%
৩. হাওড়া: ৭৩.৯৮%
৪. উলুবেড়িয়া: ৭২.৫০%
৫. শ্রীরামপুর: ৭৪.৮৬%
৬. হুগলি: ৭৮.৯৪%
৭. আরামবাগ (এসসি): ৭৩.৩০%
ভোটগ্রহণের বিবরণ
এই দফায় মোট ৮৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন, যার মধ্যে ৭৪ জন পুরুষ এবং ১৪ জন মহিলা প্রার্থী। কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর (CAPF) মোতায়েনের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়, মোট ৫৬৭ কোম্পানি ভোটকেন্দ্রগুলিতে শান্তি বজায় রাখার জন্য নিয়োজিত ছিল।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং বাজেয়াপ্তকরণ
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য একটি ব্যাপক নিরাপত্তা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়েছিল, যেখানে রাজ্য পুলিশ বাহিনীর ২৫,৫০০ জন কর্মী CAPF ইউনিটের পাশাপাশি মোতায়েন ছিল। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ১ মার্চ থেকে ২০ মে, ২০২৪ পর্যন্ত মোট প্রায় ₹৩৭.৪৭ কোটি মূল্যের নগদ, মাদক/নেশার দ্রব্য, মূল্যবান ধাতু, উপহার এবং অন্যান্য সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
গৃহভোট এবং প্রবেশগম্যতা
নির্বাচন কমিশন প্রবীণ নাগরিক (AVSC) এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের (AVPD) জন্য গৃহভোটের ব্যবস্থা করে, যার মাধ্যমে মোট ১৬,৬৫৪টি ব্যালট পেপার ব্যবহার করা হয়।
ঐতিহাসিক তুলনা এবং অভিযোগ
এই দফায় ভোটার উপস্থিতি পূর্ববর্তী নির্বাচনের সাথে তুলনামূলক ছিল, যা সক্রিয় অংশগ্রহণের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। উদাহরণস্বরূপ, ২০১৯ সালের নির্বাচনে বনগাঁতে ৮০.২৬% ভোট পড়েছিল, যেখানে বারাকপুরে ৮১.৩১% ভোট পড়েছিল।
নির্বাচন কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে (NGRS, C-Vigil, CMS) মোট ১,৯৯২টি অভিযোগ রেকর্ড করেছে। প্রধান অভিযোগগুলি ছিল ইভিএম ত্রুটি থেকে ভোটার ভীতি প্রদর্শন পর্যন্ত, যা সবগুলিই দ্রুত সমাধান করা হয়েছে।
আগামী ৪ জুন, ২০২৪ তারিখে গণনা হবে বলে রাজ্যটি এই গুরুত্বপূর্ণ দফার ফলাফলের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে, যা পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক দৃশ্যপট গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।