কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬ তম জন্মদিবস শ্রদ্ধা সহকারে পালন করা হয় দুর্গাপুরের ইস্পাত অঞ্চলে , দুর্গাপুর ইস্পাত অঞ্চলের সাংস্কৃতিক সংগঠন সমূহ এর উদ্যোগে। দুর্গাপুরের ইস্পাত অঞ্চলের বিজোন অঞ্চলের সম্পর্ক ভবনে কাজী নজরুল ইসলামের প্রতিকৃতিতে মাল্যদানের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে লহরী সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর উদ্যোগে বিদ্রোহী কবিকে স্মরণ করা হয় সংগীতের মাধ্যমে। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করতে গিয়ে শিল্পী কানাই বিশ্বাস বলেন বর্তমানে কাজী নজরুলকে বেশি করে স্মরণ করা প্রয়োজন যখন সমাজে ধমীয় বিভেদ ও সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের মাধ্যমে এক অসুস্থ পরিবেশ গড়ে তোলার চেষ্টা হচ্ছে। সকালে এক অপূর্ব সাংস্কৃতিক পরিবেশের সৃষ্টি করলো আজকের অনুষ্ঠান।
শিল্পী অপি দাসের কণ্ঠে নজরুল গীতির এক অন্য আঙ্গিক চোখে পড়লো , এরপর বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সংঘের ইস্পাত ২ আঞ্চলিক শাখার সম্পাদক সমীর দাস বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন কাজী নজরুল কে বিদ্রোহী কবি বলা হলেও আসলে মানব প্রেমিক তার শিল্প কর্মে সেই প্রমের ই ঝলক পরে। সমাজ গঠনের প্রেক্ষাপটে কাজী নজরুল এক লাইটহাউস সেই সঙ্গে সমাজ গঠনে তার শিল্প কর্ম ব্যাপক সহায়তা দেন করেছে। বর্তমানে সেই শিল্প কর্মগুলি প্রেরণা দেন করছে।
ইস্পাত অঞ্চলের বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী রাখি সরকার এক অনবদ্য সংগীত পরিবেশন করেন সংগীতের মূর্ছনায় যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছিল কাজী নজরুল। কবি লিনা চোধুরী ছাড়াও আরো কয়েক জন কবিতা পাঠে স্মরণ করে বিদ্রোহী কবিকে। এক কথায় সকালের অনুষ্ঠান এক অনবদ্য রূপ তৈরি করলো। শহরে বিশিষ্ট নাট্যকার অভিজিৎ বাবু তুলে সুরের মাধ্যমে বিদ্রোহী কবিকে।
অনুষ্ঠানের শেষ লগ্নে বক্তব্য রাখেন সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম মুখ সীমান্ত তরফদার , তিনি বলেন দুই বাংলা আজ ধর্মান্ধতার আস্ফালন এক বাংলা রবীন্দ্রনাথ আক্রান্ত আরেক বাংলায় কাজী নজরুল আক্রান্ত , এই আক্রমন রুখতে প্রয়োজন সাংস্কৃতিক কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন।