বেলগ্রেডে নতুন চীনা-নির্মিত দ্রুতগতির ট্রেন উন্মোচন

 

 

শুক্রবার, সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভুচিচের উপস্থিতিতে বেলগ্রেডে একটি নতুন চীনা-নির্মিত দ্রুতগতির ট্রেন উন্মোচন করা হয়েছে। জমুন ট্রেন স্টেশনে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে ঘোষণা করা হয় যে সার্বিয়া চীন রেলওয়ে রোলিং স্টক কর্পোরেশন (CRRC) থেকে পাঁচটি নতুন ট্রেন অর্ডার করেছে, যা বেলগ্রেড-বুদাপেস্ট রেলপথের শীঘ্রই সম্পূর্ণ হওয়া সার্বিয়ান অংশে যাত্রী পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হবে।

 

প্রেসিডেন্ট ভুচিচ উল্লেখ করেন যে বেলগ্রেড থেকে সার্বিয়া-হাঙ্গেরি সীমান্তের নিকটবর্তী সুবোটিকা পর্যন্ত ১৮০ কিলোমিটার যাত্রা মাত্র এক ঘণ্টা ১০ মিনিটে সম্পন্ন হবে।

"আমি বিশেষভাবে চীন যোগাযোগ নির্মাণ কোম্পানিকে (CCCC) ধন্যবাদ জানাতে চাই, যা সম্ভবত সার্বিয়ায় এখন পর্যন্ত কাজ করা সেরা কোম্পানি। এই কোম্পানি একটি আশ্চর্য এবং এই মানুষগুলির কাজ করার ক্ষমতা অবিশ্বাস্য," ভুচিচ বলেন। ৩৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ বেলগ্রেড-বুদাপেস্ট রেলপথ চীনা কোম্পানির একটি কনসোর্টিয়াম দ্বারা নির্মিত হচ্ছে, যার মধ্যে CCCC অন্তর্ভুক্ত।

চীন থেকে ট্রেন আমদানি সম্পর্কে, ভুচিচ ব্যাখ্যা করেন: "চুক্তি অনুযায়ী, শেষ ট্রেনটি ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫ তারিখে পৌঁছাবে। আমরা সেপ্টেম্বরেই বেলগ্রেড-সুবোটিকা লাইনের জন্য পরীক্ষা শুরু করব, এবং সর্বাধিক ১ ডিসেম্বরের মধ্যে। যদি আমরা ততক্ষণে লাইনটি শেষ করতে পারি, এবং আমরা করব, আপনি এই ট্রেনে বেলগ্রেড-সুবোটিকা ভ্রমণ করবেন।" চীনা ঠিকাদাররা এখন পর্যন্ত বেলগ্রেড এবং সার্বিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর নোভি সাদের মধ্যে রেলপথ সম্পন্ন করেছে এবং ডিসেম্বর ২০২৪ এর মধ্যে এই রেলপথ সুবোটিকা পর্যন্ত সম্প্রসারিত করবে।

ভুচিচ আরও উল্লেখ করেন যে মার্চ ২০২২ এ চালু হওয়া পুনর্নির্মিত বেলগ্রেড-নোভি সাদ রেলপথ সার্বিয়ার রেল পরিবহনকে পুনরুজ্জীবিত করেছে।

"আমরা সেরা মানের এবং সবচেয়ে সুন্দর ট্রেন আমদানি করি। আমি আশা করি আমরা শীঘ্রই এগুলি নিজেরাই নির্মাণ করব। এটি সার্বিয়ার বৃদ্ধির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে," ভুচিচ বলেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে চীনের সাহায্যে শীঘ্রই সার্বিয়া নিজেই দ্রুতগতির ট্রেন নির্মাণ শুরু করবে।

বেলগ্রেড-বুদাপেস্ট রেলপথ মধ্য এবং পূর্ব ইউরোপে বেল্ট এবং রোড উদ্যোগ যৌথভাবে নির্মাণের প্রধান প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি, যেখানে চীন, হাঙ্গেরি এবং সার্বিয়ার সহযোগিতা রয়েছে।

নতুন ট্রেনটিতে ২৫০টি আসন রয়েছে এবং এটি সর্বোচ্চ ২০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে চলতে পারে। এতে বুদ্ধিমান ডায়াগনস্টিকস, রক্ষণাবেক্ষণ, টিকিট বিক্রয় ব্যবস্থা, হুইলচেয়ারের জন্য স্থান, সীমিত গতিশীলতার মানুষের জন্য টয়লেট এবং সাইকেল এবং বড় লাগেজ সংরক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে।