রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য দার্জিলিংয়ের পথে রওনা দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি মুর্মু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেছেন, "দার্জিলিং, পশ্চিমবঙ্গে ট্রেন দুর্ঘটনার খবর অত্যন্ত মর্মান্তিক। আমার ভাবনা ও প্রার্থনা শোকাহত পরিবারের সাথে। আমি আহতদের দ্রুত আরোগ্যের জন্য প্রার্থনা করি এবং ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রমের সাফল্য কামনা করি।"
শিয়ালদহের জন্য সাহায্য ডেস্ক নম্বরগুলি:
- ০৩৩-২৩৫০৮৭৯৪
- ০৩৩-২৩৮৩৩৩২৬
গুয়াহাটি (GHY) স্টেশনের জন্য হেল্পলাইন নম্বরগুলি:
- ০৩৬১২৭৩১৬২১
- ০৩৬১২৭৩১৬২২
- ০৩৬১২৭৩১৬২৩
রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব টুইটারে বলেছেন, "এনএফআর জোনে দুর্ভাগ্যজনক দুর্ঘটনা। যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে উদ্ধার কার্যক্রম চলছে। রেলওয়ে, এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে কাজ করছে। আহতদের হাসপাতালে স্থানান্তর করা হচ্ছে। সিনিয়র কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন।"মালগাড়িটি পিছন থেকে এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে ধাক্কা দেয়, ফলে ব্যাপক ক্ষতি এবং ট্রেনের বগিগুলি লাইনচ্যুত হয়।
এনএফআরের কাটিহার বিভাগের বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার (DRM) বলেছেন, রঙ্গাপানি স্টেশনের কাছাকাছি, নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার দূরে, সংঘর্ষের প্রভাবে ট্রেনের পেছনের বগিগুলি লাইনচ্যুত হয়।দুর্ঘটনায় পাঁচজন যাত্রী মারা গেছেন এবং ২০-২৫ জন আহত হয়েছেন। "পরিস্থিতি গুরুতর। ঘটনাটি ঘটে যখন একটি মালগাড়ি কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে ধাক্কা দেয়," বলেছেন দার্জিলিং পুলিশের অতিরিক্ত এসপি অভিষেক রায়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার শোক প্রকাশ করে বলেছেন, "ফানসিদেওয়া এলাকায় একটি মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্তব্ধ। বিস্তারিত অপেক্ষমাণ থাকলেও, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে মালগাড়ি ধাক্কা দিয়েছে বলে জানা গেছে।" তিনি যোগ করেছেন, "ডিএম, এসপি, ডাক্তার, অ্যাম্বুলেন্স এবং দুর্যোগ দলগুলি উদ্ধারকার্য চালানোর জন্য ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।"
শিয়ালদহগামী ১৩১৭৪ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস এবং একটি মালগাড়ির সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন নিহত এবং ২০ জনেরও বেশি গুরুতর আহত হয়েছেন। এই দুর্ঘটনাটি সকাল ৯টার দিকে ঘটেছে যখন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস আগরতলা থেকে শিয়ালদহ যাচ্ছিল। রেলওয়ে, এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ সহ জরুরি পরিষেবাগুলি উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সিনিয়র কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত আছেন এবং রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি পরিদর্শনের জন্য দার্জিলিংয়ের পথে রয়েছেন।
