নয়া দিল্লি: কেউ প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন, কেউ বা প্রথম দশের মধ্যে। ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষায় এমন দুর্দান্ত ফলাফল দেখিয়ে তারা যে পড়াশোনায় অসাধারণ, তাতে সন্দেহ নেই। তাহলে ফের পরীক্ষা দিতে ভয় কীসের? গ্রেস মার্কস বিতর্কের কারণে রবিবার পুনরায় নিট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ১৫৬৩ জন পড়ুয়ার পুনরায় পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তার মধ্যে ৪৮ শতাংশই পরীক্ষা দিতে এল না।
যারা পরীক্ষা দিল, তাদের মনেও ছিল আতঙ্ক। ভয়, আগের পরীক্ষার মতো ভাল র্যাঙ্ক হবে না এই পরীক্ষায়।
এই বছরের নিট পরীক্ষায় প্রথম স্থানাধিকারীর সংখ্যা ৬৭। সকলেই ৭২০-তে ৭২০ পেয়েছে। প্রতি বছর এই সংখ্যাটি মেরেকেটে ২ কি ৩। এতজন প্রথম স্থানাধিকারীকে নিয়েই প্রথম প্রশ্ন ওঠে। এরপর আসে গ্রেস মার্কস বিতর্ক এবং প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ। ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গ্রেস মার্কস পাওয়া ১৫৬৩ জন পড়ুয়ার ফের নিট পরীক্ষায় বসার কথা ছিল।
মে মাসে হওয়া নিট পরীক্ষায় যারা টপার ছিলেন, তাদেরও কয়েকজনকে পুনরায় পরীক্ষায় বসতে হয়েছে। এদের মধ্যে ৬ জন পড়ুয়াকে নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়েছিল কারণ তারা একই সেন্টার থেকে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। রবিবার তাঁরাও পরীক্ষা দেন। তবে একটি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তারা জানান, এবারের প্রশ্নপত্র আগের থেকেও বেশি কঠিন ছিল। আবার ফুল মার্কস পাবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
এক পরীক্ষার্থী, যিনি গ্রেস মার্কসের দৌলতে প্রথম স্থান পেয়েছিলেন, রবিবার পরীক্ষা দেওয়ার পর বলেন, "গতবারের তুলনায় এবারের প্রশ্ন খুব কঠিন এসেছে। বিশেষ করে কেমিস্ট্রি। আমি উত্তর লিখে আসতে পারিনি দুটো প্রশ্নের। এর প্রভাব আমার র্যাঙ্কে পড়বে।"
আরেক পরীক্ষার্থী বলেন, "ভাল পরীক্ষা দিয়েছি কিন্তু ফুল মার্কস পাব কি না, সন্দেহ রয়েছে। এত চিন্তা, পারিপার্শ্বিক চাপ ছিল যা আমার পারফরম্যান্স ও আত্মবিশ্বাসে প্রভাব ফেলেছে।"
৭২০-তে ৭২০ পাওয়া নিট টপাররা এবার পরীক্ষায় কত পান, তা জানা যাবে ৩০ জুন। ওই দিনই পরীক্ষার ফল প্রকাশ হবে। গ্রেস মার্কস নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা-বিতর্ক থাকলেও, নিট পরীক্ষায় যে জালিয়াতি হয়েছে, তা পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে। বর্তমানে তদন্ত করছে সিবিআই।
নয়া দিল্লি: নিট পরীক্ষায় পুনরায় বসতে অর্ধেক ছাত্রের অনুপস্থিতি, গ্রেস মার্কস বিতর্ক তীব্র
24 June