৫০ বছরের পুরনো চুক্তিটি ভূ-রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে। এটি বৈশ্বিক জ্বালানি বাজার গঠনে এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক প্রভাবিত করতে একটি প্রধান ভূমিকা পালন করেছে।
১৯৭৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি আরবের মধ্যে স্বাক্ষরিত দ্বিপাক্ষিক চুক্তির ফলস্বরূপ পেট্রোডলার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। উভয় দেশই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে তেল ডলারে মূল্যায়িত এবং ব্যবসা করা হবে।
তেলের মূল্য ডলারে নির্ধারিত হওয়ার ফলে সৌদি আরব থেকে তেল ক্রয়কারী প্রতিটি দেশকে ডলারে অর্থ প্রদান করতে হত। আরও বেশ কয়েকটি তেল উৎপাদনকারী দেশও তাদের তেলের মূল্য ডলারে নির্ধারণ শুরু করে, যা পেট্রোডলার ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করে তোলে।
এর বিনিময়ে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবকে সামরিক সহায়তা এবং নিরাপত্তার নিশ্চয়তা প্রদান করে, যা দেশের স্থিতিশীলতা এবং বাহ্যিক হুমকির বিরুদ্ধে সুরক্ষা নিশ্চিত করে। পাশাপাশি, সৌদি আরব তাদের তেল রাজস্ব মার্কিন সম্পদ, প্রধানত ট্রেজারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করতে সম্মত হয়েছিল, যা মার্কিন ঘাটতি পূরণ করতে এবং ডলারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করেছিল।
ছয় পৃষ্ঠার এই চুক্তি হোয়াইট হাউসের বিপরীতে ব্লেয়ার হাউসে স্বাক্ষরিত হয়েছিল, যেখানে তখনকার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার এবং সৌদি আরবের প্রিন্স ফান্ড ইবনে আবদেল আজিজ, যিনি পরে সৌদি আরবের রাজা হন, স্বাক্ষর করেছিলেন। চুক্তি স্বাক্ষরের সময়, কিসিঞ্জার বলেছিলেন, "আমরা এটি সৌদি আরব এবং সাধারণভাবে আরব দেশগুলির সাথে আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসাবে বিবেচনা করি।"
সম্প্রতি চুক্তিটি পুনর্নবীকরণ না করার সিদ্ধান্তের ফলে, সৌদি আরব চীনা রেনমিনবি, ইউরো, ইয়েন এবং ইউয়ান সহ বিভিন্ন মুদ্রায় তেল এবং অন্যান্য পণ্য বিক্রি করতে সক্ষম হবে।
৫০ বছরের পুরনো চুক্তির অবসান: বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন
14 June
Tags