গত মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্রের দ্বারা সহকারী প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্র স্কুল থেকে অনুমতি ছাড়া বেরোনোর চেষ্টা করলে সহকারী প্রধান শিক্ষক তাকে থামাতে গিয়ে শারীরিক এবং মৌখিকভাবে আক্রমণের শিকার হন।
জিয়নবুক শিক্ষক ইউনিয়নের দ্বারা প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, স্কুলছাত্রটি সহকারী প্রধান শিক্ষককে বেশ কয়েকবার চড় মারছে, ব্যাকপ্যাক দিয়ে আঘাত করছে এবং অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করছে। স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে যে, ছাত্রটি সহকারী প্রধান শিক্ষককে কামড়ে দিয়েছিল এবং থুথু ফেলেছিল। হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও, ছাত্রটি শেষ পর্যন্ত স্কুল প্রাঙ্গণ ত্যাগ করতে সক্ষম হয়।
শিক্ষকরা বলছেন, এই ধরনের প্রতিক্রিয়া অস্বাভাবিক নয় – শিক্ষকরা প্রায়ই নিজেদের রক্ষা করতে অক্ষম বোধ করেন কারণ তারা শিশু নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে আদালতে যাওয়ার ভয় পান।
কোরিয়ান ফেডারেশন অফ টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের শিক্ষক অধিকার বিভাগের পরিচালক কিম ডং-সিওক বলেন, “তিনি (সহকারী প্রধান শিক্ষক) চড় খাওয়ার সময় হাত পেছনে রেখেছেন। কিছু লোক হয়তো বলবেন, ‘কেন? তিনি ছাত্রের হাত ধরে থামানোর চেষ্টা করছেন না কেন’। এই ধরনের মন্তব্য বাস্তবতার অভাব বোঝায়। যদি সহকারী প্রধান শিক্ষক ছাত্রের হাত ধরে রাখতেন এবং কোন দাগ পড়ত, স্বাভাবিকভাবে, এটি শিশু নির্যাতন হিসেবে রিপোর্ট করা হত।”