গত ৬ বছরে যুবকদের মধ্যে আত্মহত্যার হার ৩৩% বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৮ সালে যেখানে প্রতি ২ ঘণ্টায় ৩ জন আত্মহত্যা করতো, সেখানে আজ প্রতি ঘণ্টায় ২ জন আত্মহত্যা করছে।
বেকারত্বের কারণে যুবকদের মধ্যে হতাশা ও নিঃসঙ্গতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক যুবক চাকরি খোঁজা বন্ধ করে দিয়েছে এবং হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। এই হতাশা এবং বঞ্চনার কারণে যুবকরা জীবনের প্রতি আশাহীন হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে।
দ্য ওয়্যারের জন্য একটি বিশেষ সাক্ষাৎকারে এটি আলোচনা করা হয়। প্রফেসর সন্তোষ মোত্রা, যিনি ইউনিভার্সিটি অফ বাথের সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের একজন প্রখ্যাত শ্রম অর্থনীতিবিদ, তিনি এই পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করেন।
২০১৫-১৬ থেকে ২০২২-২৩ সাল পর্যন্ত সংগঠিত খাতের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২০ লাখ বৃদ্ধি পেলেও, কর্মসংস্থানের সংখ্যা ১৭ লাখ কমে গেছে। মোত্রা বলেন, “এটি শুধুমাত্র বেকারত্বের বৃদ্ধি নয়, বরং কর্মসংস্থানের মানও অবনতির দিকে যাচ্ছে।”
প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে “নিজস্ব উদ্যোগে” পরিচালিত কর্মসংস্থানের সংখ্যা বাড়ছে, যা খুবই নিম্নমানের। অনেক যুবক গ্রামীণ এলাকায় ছোটখাটো ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে, যা খুবই অস্থায়ী এবং ঝুঁকিপূর্ণ।
মোত্রা আরও বলেন, "গ্রামীণ অর্থনীতিতে চাকরির সংখ্যা বাড়ছে না, ফলে যুবকদের মধ্যে হতাশা ও বঞ্চনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।" সরকারি নীতিমালার পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে তিনি বলেন, "সুসংগঠিত কর্মসংস্থান তৈরি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির জন্য সরকারের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া উচিত।"
অর্থনৈতিক সংকট ও বেকারত্বের কারণে যুবকদের মধ্যে আত্মহত্যার হার বৃদ্ধি পাওয়া অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এ সমস্যা সমাধানের জন্য দ্রুত এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।
দেশে বেকারত্বে যুবক আত্মহত্যার হার ৩৩% বৃদ্ধি পেয়েছে গত ৬ বছরে
06 July
Tags