নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের মানুষ একটা বড় ষড়যন্ত্রের শিকার ।
১. কেপিআই হওয়া সত্ত্বেও দুপুরে জনগণকে গণভবনে ঢুকতে বাধা দেয়নি সেনাবাহিনী। জনতা কর্তৃক অবাধ লুটপাট হয়েছে। তবে ছাত্রদের মাধ্যমে সন্ধ্যায় বহু জিনিস ফেরত আনা হলেও, রাতেই গণভবনে লেগেছে আগুন।
২. আরেক কেপিআই সংসদে ঢুকতেও বাধা দেয়নি কেউ। সংসদে ছাত্ররা ঢুকে দেখে প্রতিটি রুমে সব ছারখার হয়েই আছে। লাপাত্তা সব গুরুত্বপূর্ণ কাগজ।
৫. সারা দেশে ক্যান্টনমেন্ট ও সেনাসংশ্লিষ্ট স্থাপনা ছাড়া কোন কেপিআই-এ পাহারার ব্যবস্থা করা হয়নি।
৬. সারা দিনরাত সহিংসতা ও প্রাণহানি ঘটার পরেও রীতি অনুযায়ী কোন কারফিউ বা ছুটি রাখা হয়নি।
৭. পুলিশকে ডিউটিতে ফেরার বা ব্যারাকে থাকার নির্দেশ না দিয়ে বরং বাসায় থাকার আদেশ দিতে দেখা গিয়েছে বিভিন্ন জায়গায়।
৮. সারা দিনরাত সক্রিয় ছিলো টোকাই লীগ। বিভিন্ন জায়গায় তারা ডাকাতির চেষ্টা চালিয়েছে, বহু জায়গায় সফলও হয়েছে।
৯. ঢাকা, চট্টগ্রাম, গাজীপুর, সাভার, নারায়ণগঞ্জ সহ বেশ কিছু জায়গায় রাতে হামলা হয়েছে পাওয়ার স্টেশনে। কোন আন্দোলনকারী তো বটেই, এমনকি বিম্পি-জামাতেরও কোন যৌক্তিক কারণ নেই এমন কিছু করার।
১০. আন্দোলনকারী ছাত্রজনতার মত না নিয়েই জামাত-বিএনপির লোক নিয়ে মধ্যবর্তী সরকার ঘোষণার চেষ্টা করেছে সেনাপ্রধান। অথচ প্রটোকল অনুযায়ী জামাতকে ডাকার কোন কারণই নেই। আর ছাত্ররা স্পষ্ট বলে দিয়েছে আগেই, কোন মৌলবাদী ও চিহ্নিত দুর্নীতিগ্রস্ত দলকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না তারা।
সবকিছু দেখে মনে হচ্ছে, সেনাপ্রধান ওয়াকারের উপরে ভরসা করার কোন যৌক্তিক কারণ আর নেই। মূলত খুনী হাসিনার অবশিষ্ট পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে সে।
এবার মুক্তিযুদ্ধ ২.১ শুরুর প্রস্তুতি শুরু করার পর্যায় শুরু করেছিএ বাম দলগুলি।শেষে একটাই কথা
"হতে পারি পথশ্রমে আরো বিধ্বস্ত
বিক্ষিপ্ত নয় তবু চিত্ত।
আমরা তো সুস্থির লক্ষ্যের যাত্রী
তোলপাড় আবেগেই ক্ষিপ্র।"