ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাস্কর্যের 'অপমান' কোনও 'মৌলবাদী' বা 'ধর্মান্ধ' শক্তি করেনি। রাতের অন্ধকারে নির্লজ্জের মতো কবির ভাস্কর্য সরিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ভাস্কর্যটির ধ্বংসাবশেষ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভাগাড় থেকে উদ্ধার করে ফের জোড়াতালি দিয়ে একই জায়গায় স্থাপন করেছেন ছাত্রছাত্রীরা।
পশ্চিমবঙ্গের যে বন্ধুরা কবির অপমানে যন্ত্রণা পাচ্ছেন, তাঁরা অপরাধীর নামটা স্পষ্ট করে বলুন। অপরাধী আওয়ামী লীগ। অপরাধী শাসকদলের নির্দেশে চলা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ-সহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা গত মঙ্গলবার এই ভাস্কর্যটি স্থাপন করেছিলেন। বাংলাদেশের বর্তমান ফ্যাসিবাদী শাসনে ভয়াবহ সেন্সরশিপ এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার উপর আক্রমণের প্রতিবাদেই এই ভাস্কর্য। সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সেই প্রতিবাদ সহ্য হয়নি। তাই রবীন্দ্রনাথের স্থান হল ভাগাড়ে!
ভাস্কর্য প্রকল্পটির অন্যতম শিল্পী তথা বামপন্থী সংগঠন ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি শিমুল কুম্ভকার বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, রাষ্ট্র যেভাবে মতপ্রকাশের অধিকার দমন করছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের দালাল প্রশাসন সেই দমন-পীড়ন বিরোধী প্রয়াসকে একই উপায়ে দমন করল।
এই গ্যতনার পির আবার রবিঠাকুরের মূর্তি জোড়া লাগলো শুধু তাই নয় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর জুড়ে ছাত্রদের ধিক্কার মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।