আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় সিপিএমের ছাত্র, যুব ও মহিলা সংগঠনের সদস্যদের বিরুদ্ধে নোটিশ পাঠানোর পরিপ্রেক্ষিতে আজ, ২৪শে আগস্ট, কলকাতা লালবাজার অভিমুখে মিছিল করার ঘোষণা করেছেন মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ও তাঁর সহযোদ্ধারা। এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য, নোটিশের বিরোধিতা ও পুলিশের ভূমিকার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো।
গত কয়েকদিন ধরেই আরজি কর হাসপাতালের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। সেখানে ঘটে যাওয়া ভাঙচুরের ঘটনায় সিপিএমের ছাত্র সংগঠন SFI, যুব সংগঠন DYFI এবং মহিলা সংগঠন AIDWA-র একাধিক নেতাকর্মীকে নোটিশ পাঠায় কলকাতা পুলিশ। সিপিএমের অভিযোগ, এই নোটিশ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফল এবং বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা।
আজকের এই অভিযানে মূল নেতৃত্বে রয়েছেন SFI-এর রাজ্য সভানেত্রী মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। কলেজ স্ট্রিটে জমায়েত হয়ে মিছিলের আকারে লালবাজারের দিকে যাত্রা করবে প্রতিবাদকারীরা। মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণার পর থেকেই শহরের বিভিন্ন প্রান্তে উত্তেজনা বাড়ছে। পুলিশ পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাড়তি ব্যবস্থা নিয়েছে। মিছিল ঘিরে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে লালবাজার এবং আশেপাশের এলাকায়।
প্রতিবাদকারীদের দাবি, আরজি করের ঘটনাকে অজুহাত বানিয়ে ছাত্র-যুব ও মহিলা সংগঠনের উপর অন্যায়ভাবে আক্রমণ চালানো হচ্ছে। তাঁরা স্পষ্টতই জানিয়েছেন, কোনো ধরনের চাপ বা হুমকির কাছে মাথা নত করবে না তাঁদের আন্দোলন। আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে তাঁরা সরকারের এই দমননীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হবেন।
আজকের লালবাজার অভিযান শুধুমাত্র পুলিশের নোটিশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ নয়, বরং সিপিএমের পক্ষ থেকে এই মিছিল রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে এক বৃহত্তর প্রতিবাদ কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ঘটনাবলী এবং আরজি করের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই মিছিলকে কেন্দ্র করে শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যে আরও উত্তপ্ত হতে পারে, তা বলাই বাহুল্য।
কলকাতা পুলিশের পক্ষে জানানো হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে তারা সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে। লালবাজার চত্বরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নজরদারি চালানো হচ্ছে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
এই মিছিলের পরিপ্রেক্ষিতে শহরের বিভিন্ন মহলে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। সিপিএম সমর্থকরা যেমন এই মিছিলকে 'অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ' হিসেবে দেখছেন, তেমনই শাসকদল ও বিরোধী দলগুলির মধ্যেও এই ঘটনার পরবর্তী প্রভাব নিয়ে চলছে আলোচনা। লালবাজারের দিকে তাকিয়ে রয়েছে শহরের সাধারণ মানুষ, যাঁরা আজকের এই কর্মসূচির পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে নজর রাখছেন।
