" " //psuftoum.com/4/5191039 Live Web Directory দুর্গাপুর এ এস পি স্টেডিয়ামে বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক পরিতোষ মুখার্জির স্মরণসভা অনুষ্ঠিত এক আবেগময় সন্ধ্যা //whairtoa.com/4/5181814
Type Here to Get Search Results !

দুর্গাপুর এ এস পি স্টেডিয়ামে বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক পরিতোষ মুখার্জির স্মরণসভা অনুষ্ঠিত এক আবেগময় সন্ধ্যা

 



 


খেলার জগতে এক অন্যতম পরিচিত মুখ, পরিতোষ মুখার্জি (পিন্টুদা), স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হল দুর্গাপুর এসবি স্টেডিয়ামে। প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করেও বহু ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন এই সভায়। সবার মনে ছিল শুধুই পরিতোষ বাবুর প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।



পরিতোষ মুখার্জির জীবন ও ক্রীড়া অবদান


পরিতোষ মুখার্জির জন্ম ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৫০ সালে কলকাতায়। তিনি ১৯৭১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাস করেন এবং একই সময়ে ফুটবল খেলা চালিয়ে যান। পরবর্তীতে, ১৬ মে ১৯৭৮ সালে, তিনি এএসপিতে স্টোর কিপার হিসাবে কাজ শুরু করেন।



 খেলাধুলার প্রতি অবদান


পরিতোষ মুখার্জি শান্তি স্পোর্টিং ক্লাবের সাথে যুক্ত হন এবং ছোটদের খেলা শেখানোর কাজে মন দেন। পরবর্তী কালে তিনি তানসেন ক্লাবের সাথে যুক্ত হন এবং সেখানে বাচ্চাদের মাঠমুখি করার এবং খেলা শেখানোর কাজে সাফল্য অর্জন করেন। এছাড়া, তিনি মিলনী ক্লাব এবং ভারতী অগ্রগামী ক্লাবের সাথেও যুক্ত ছিলেন এবং মৃত্যুর আগে পর্যন্ত ভারতী সেকেন্ডারি ক্লাবের সাথে সক্রিয় ছিলেন।



 স্মরণসভা শুরু: প্রতিকৃতিতে মাল্যদান


সভার শুরুতেই পরিতোষ মুখার্জির প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে স্মরণসভার রাজ শুরু হয়। উপস্থিত ছিলেন তার পরিবারের সদস্যরা। সভার সভাপতিত্ব করেন দুর্গাপুরের অন্যতম বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক সুখময় বোস। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দুর্গাপুরের প্রাক্তন ক্রীড়াবিদ মৃত্যুঞ্জয় ঘোষ ও বহু প্রাক্তনী ক্রীড়াবিদ।



 সুখময় বোসের বক্তব্য: “বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক কে হারালো আমাদের শহর”


সভায় সুখময় বোস বলেন, “বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক কে হারালো আমাদের শহর। খেলার মাঠে বিভিন্ন খেলোয়াড়রা যেমন মর্দা পাচ্ছেন, সেই খেলোয়াড় তৈরীর মহান কাজে ব্রতী ছিলেন পরিতোষ বাবু। বর্তমান সময়ে যা বেশ সংকটে, অর্থাৎ কোচিং দেওয়ার ক্রীড়া সংগঠক দুর্গাপুরে কমে আসছে। পরিতোষ বাবুর মৃত্যুতে এক চরম ধাক্কা খেলো খেলোয়াড় তৈরীর প্রক্রিয়া প্রচেষ্টা।”

 


পরিতোষ মুখার্জির কন্যার আবেগঘন বক্তব্য


স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন পরিতোষ বাবুর কন্যা। তিনি তুলে ধরেন কিভাবে ফুটবল ছিল তার বাবার প্রাণের ছোঁয়া। জীবনের একটা বড় সময় ফুটবলকে ভালোবেসে কাটিয়ে গেছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, “আমার বাবা ফুটবলের জন্যই বেঁচে ছিলেন। তাঁর অনুপ্রেরণা ও ভালোবাসা আমাদের সবসময় মনে থাকবে।”



 পরিতোষ মুখার্জির অনন্য কৃতিত্ব


সভায় উঠে আসে পরিতোষ মুখার্জির অনন্য কৃতিত্বের কথা। নিজে খেলোয়াড় না হলেও গোল করা ফুটবল খেলোয়াড় তৈরি করার এক দারুণ প্রচেষ্টা করে যাচ্ছিলেন তিনি। NIS সার্টিফিকেট না থাকা সত্ত্বেও যেভাবে ফুটবলকে আগলে রেখেছিলেন, তা দুর্গাপুরের বুকে এক অনন্য কৃতিত্ব দাবি রাখে। তাঁর এই অনুপ্রেরণা ও উদ্যম বহু খেলোয়াড়কে প্রেরণা জুগিয়েছে।



 স্মরণসভায় উপস্থিত অন্যান্য ক্রীড়া সংগঠক ও ক্রীড়াবিদ


স্মরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন দুর্গাপুরের বিভিন্ন ক্লাবের ক্রীড়া সংগঠক ও প্রাক্তনী ক্রীড়াবিদরা। সবাই মিলে পরিতোষ বাবুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং তাঁর অবদানকে স্মরণ করেন। বক্তারা বলেন, “পরিতোষ বাবু ছিলেন আমাদের শহরের এক অনন্য ক্রীড়া সংগঠক। তাঁর অবদান আমাদের সবসময় মনে থাকবে।”



 উপসংহার


পরিতোষ মুখার্জির স্মরণসভা ছিল এক আবেগঘন সন্ধ্যা। প্রবল বৃষ্টির মধ্যেও উপস্থিত ক্রীড়াপ্রেমীরা প্রমাণ করে দিয়েছেন, ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার জন্য কোনো বাধা নেই। পরিতোষ মুখার্জি তাঁর কর্মজীবন ও অবদানের মাধ্যমে চিরকাল সবার মনে বেঁচে থাকবেন।








Top Post Ad

Below Post Ad

Hollywood Movies