আরজি কর হাসপাতালে তিলোত্তমা নামের এক তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার সাথে আরও কেউ জড়িত কি না, তা নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি অডিয়োতে হাসপাতালের এক ইন্টার্ন এবং অন্য একটি মেডিক্যাল কলেজের পিজিটি ডাক্তারের মধ্যে ফোনালাপ শোনা গেছে, যা বিষয়টিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
ভাইরাল হওয়া অডিয়োতে ইন্টার্ন দাবি করেছেন, আরজি কর হাসপাতালের আন্দোলন সম্পূর্ণ মেকি এবং এর পেছনে আছেন প্রিন্সিপাল ও তাঁর সাগরেদরা। ইন্টার্ন আরও অভিযোগ করেন, হাসপাতালে কোনও বাস্তব নেতৃত্ব নেই, এবং কর্তৃপক্ষের নেওয়া পদক্ষেপগুলি প্রতারণামূলক। একটি সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করে বলির পাঁঠা বানানো হয়েছে বলে ইন্টার্নের দাবি।
ইন্টার্ন আরও অভিযোগ করেছেন, তিলোত্তমার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী ইনজুরির ধরন দেখে বোঝা যায় যে এই কাজ একজনের পক্ষে সম্ভব নয়। কমপক্ষে দু’তিনজন এর সাথে জড়িত থাকতে পারে। তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন যে, একজন ইন্টার্ন, যাঁর যথেষ্ট রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড এবং পরিবারের প্রভাব রয়েছে, এই ঘটনায় জড়িত থাকতে পারেন।
আলোচনায় আরও উঠে আসে, হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের দ্বারা সিসিটিভি ফুটেজ লোপাটের অভিযোগ এবং তিলোত্তমাকে মানসিক রোগী প্রমাণ করার চেষ্টার বিষয়টি। ইন্টার্ন স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, তিলোত্তমা মানসিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন এবং তাকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার প্রচেষ্টা মিথ্যা।
ইন্টার্নের এই চাঞ্চল্যকর দাবিগুলি ইতিমধ্যেই ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে, যা তদন্তের নতুন দিক উন্মোচন করতে পারে।