জঙ্গলে কাঠ কুড়োতে গিয়ে নারকীয় ঘটনার শিকার বাঁকুড়ার এক গৃহবধূ। অভিযোগ, তাঁকে গণধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। বিষ্ণুপুরের বাসিন্দা ওই মহিলা শনিবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন। রবিবার সকালে তাঁর অর্ধনগ্ন দেহ জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয়। মহিলার স্বামী থানায় নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তবে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বিষ্ণুপুরের বাঁকাদহ চাঁচর গ্রামের বাসিন্দা ওই মহিলা শনিবার সকালে কাঠ কুড়োতে জঙ্গলে যান, কিন্তু আর বাড়ি ফেরেননি। রাতে দীর্ঘ অপেক্ষার পর তাঁর স্বামী মন্টু সর্দার বিষ্ণুপুর থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন। পরের দিন সকালে পুলিশ তদন্তে নেমে জঙ্গল থেকে মহিলার অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, তাঁকে গণধর্ষণের পর খুন করে জঙ্গলে ফেলে রাখা হয়েছে। মৃতদেহটি ময়নতদন্তের জন্য বাঁকুড়া জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ, তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
এই ঘটনার পর চাঁচর গ্রামের মহিলাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। গ্রামের মহিলারা জঙ্গল থেকে কাঠ ও অন্যান্য সামগ্রী সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করেন, তাই তাঁদের প্রতিদিন জঙ্গলে যেতে হয়। এই ঘটনায় তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। ভারতী ভুঁইঞা নামে এক মহিলা বলেন, “আমাদের তো জঙ্গলে না গেলে চলে না। কখনও একা, কখনও দু-তিনজন মিলে যাই। কিন্তু এই ঘটনার পর মনে ভয় ঢুকে গিয়েছে।” গ্রামের অন্যান্য মহিলারাও একইভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
অন্যদিকে, বাঁকুড়ার সিমলাপালে আরও একটি ঘটনা ঘটেছে যেখানে এক অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ওন্দা থানা এলাকায় পিসির বাড়ি যাওয়ার পথে রাস্তা থেকে তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে এই ঘটনা ঘটানো হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ নাটাইগুড়ি গ্রামে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।